মোঃরোমান, ফরিদপুর প্রতিনিধি,
করোনা ভাইরাসে যখন সারা বিশ্ব চিন্তিত, জীবন যেখানে থেমে যাচ্ছে, সেখানে মধ্যেবিত্ত ও গরীব পরিবার গুলো সেখানে জীবনের সাথে লড়াই করে যাচ্ছে। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কেউ কেউ বাঁচার চিন্তা না করে অর্থের চিন্তা করতেছে। কারণ,তার দৈনিক কাজ না করলে চাল কিনতে পারেনা, পরিবারের খাবারের ব্যাবস্থা করতে যাদের ছুটতে হয় প্রতিদিন। তারা করোনা ভাইরাসের চিন্তা না করে তাদের পরিবারের কথা ভেবে চিন্তিত। কেউ কেউ আবার নিজের দেশ,প্রিয়জন ছেড়ে প্রবাসে পারী জমিয়েছেন। কিন্তু প্রবাসে যেতে তাদের হারাতে হয়েছে ভিটা-বাড়ি কিংবা নিজের শেষ সম্ভব বন্দক রেখে করতে হয়েছে বড় ধরনের লোন। আশাছিলো প্রবাসে গিয়ে অর্থ উপার্জন করে পরিবারের মুখে হাসি ফোঁটাবে ঋণের বোঝা দুর করবে। সেখানে করোনা ভাইরাসের কারোনে অর্থ উপার্জন থাক দুরের কথা বন্দি হতে হয়েছে বিদেশ নামক বন্দি খাঁচায়। পরিবারের খরচ দেওয়া তো থাক দুরের কথা নিজে খাবার টাকাই উপার্জন করতে পারতেছেনা। আর ঋন পরিশোধ করা তো ভাবনার বাইরে চলে গেছে। একজন প্রবাসী এখন কি করবে নিজের পরিবারে কথা চিন্তা করবে নাকি নিজের কথা চিন্তা করবে। অন্যদিকে মাস শেষ ঋন পরিশোধের চিন্তাতো আছেই। সব চিন্তা শেষ করে নিজের পরিবারের কাছে ফিরে আসারও কোন উপায় নাই। বন্ধ হয়ে গেছে সকল দেশের সিমানা। সারা দেশের একই অবস্থা হলেও আমার জম্ন স্থান ফরিদপুর জেলায় এই সমস্যা মহামারী আকার ধারন করেছে। প্রবাসে থাকা পরিবার গুলো সরকারের কাছে সাহায্য আবেদনের পাশাপাশি যেহুতু দেশ গুলো প্রবাসী দের অর্থ উপার্জন বন্ধ করেছে তাই বিভিন্ন সংস্থা থেকে যেসব প্রবাসী পরিবার ঋন করেছে তাদের কাছ থেকে ঋন আদায় বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছে । সরকার প্রবাসীদের পরিবারের জন্য কল্যাণময় কিছু করবে এই আশা সকল ফরিদপুর বাসির। নিচে প্রিয়জন প্রবাসে থাকা একজন বোনের পাঠানো কথা তুলেধরা হলো,
[করোনা ভাইরাসে,বিদেশেও কাজ বন্ধ আছে,যারা ফ্রি ভিসায় গেছে তাদের অবস্থা কি হবে, তারপর ঘারের উপর থাকে যদি ৩০ হাজার টাকার মাসিক কিস্তুি,কোথা থেকে দেবে এই টাকা, এখনতো ঘর বাড়ি বিক্রয় করতে হবে,ব্রাক ব্যাংকগুলো এটা কেন বুঝতে পারছে না, যে এই ভাইরাসের কারনে প্রবাসিরা বেকার হয়ে পরেছে,প্রবাসিদের জন্যইতো এই ঋনগুলো দেওয়া হয়,আপনি কি বলবেন এ ব্যাপারে, সাংবাদিক ভাই]