সংসদ টেলিভিশনে এবার প্রাথমিকের পাঠও প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে কন্টেন্ট তৈরির কাজ শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।
জানা যায়, সংসদ টেলিভিশনে গত রবিবার থেকে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পাঠ প্রচার শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রতিদিন প্রতিটি শ্রেনীর দু’টি ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এই ক্লাস প্রচার করা হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম আল হোসেন সোমবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা চাই করোনার প্রাদুর্ভাবে স্কুল বন্ধ থাকলেও শিশুরা যেন তাদের পড়ালেখা অব্যহত রাখে। এজন্য টেলিভিশনে ক্লাস প্রচারের জন্য আমরা ইতিমধ্যে এটুআই এর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের সহায়তা করবে। ডিপিই কনটেন্ট তৈরির কাজ শুরু করছে। আমাদের সংসদ টেলিভিশনের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহ থেকেই টেলিভিশিনে আমরা ক্লাস সম্প্রচার শুরু করতে পারবো।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আরো বলেন, ‘আমাদের হাতে এক কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীর ডাটাবেজ আছে। তাদের মায়েদের মোবাইল নম্বর আছে। সেই নম্বরে এসএমএস পাঠিয়েও নানা তথ্য জানাবো। এছাড়া স্ব স্ব স্কুলের শিক্ষকদের মাধ্যমে অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলেছি। যাতে শিশুদের পড়ালেখা অব্যহত থাকে।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ), কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ এবং ভিডিও কনটেন্ট তৈরিতে অভিজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়ে গ্রুপ করেছি। তারা প্রতিদিনই কাজ করছেন। বাসায় বসে শিক্ষকরা কীভাবে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করবেন সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্যাকগ্রাউন্ড কেমন হবে সে বিষয়েও বলে দিয়েছি।’
ডিপিই মহাপরিচালক আরো বলেন, ‘আমরা দু’এক দিনের মধ্যেই কিছু কনটেন্ট হাতে পাবো। এরপর সেগুলো এডিটিং করা হবে। শিক্ষকদের তৈরি ভিডিওতে কিছু অ্যানিমেশন যুক্ত করা হবে। শিশুদের পাঠ তাদের মত করেই তৈরি করা হবে। সংসদ টিভিতে প্রচারের পাশাপাশি অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এসব কনটেন্ট আপলোড করা হবে।’
জানা যায়, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে করোনার প্রাদুর্ভাব অব্যহত থাকায় আগামী ঈদ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।