করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন চলায় দিনমজুর ও অসহায় পরিবারের মাঝে সরকারি ও বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবীরা খাদ্যপণ্য দিয়ে সহায়তা করছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের সময় সরকারি ও বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবীরা সামাজিক দূরত্ব না মানায় ঝুঁকিতে আছে অসহায় দরিদ্র মানুষ ও স্বেচ্ছাসেবীরা।

জানা যায়, নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ বন্ধ রেখে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা শ্রমজীবী, দিনমজুরদের জন্য চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেলসহ শুকনো খাবার নিয়ে সোনারগাঁয়ের একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, ব্যক্তিউদ্যোগ ও জনপ্রতিনিধিরা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে গিয়ে জনসমাগম সৃষ্টি করছেন। তারা ছবি তুলতে একজন আরেক জনের গায়ের ওপর এসে পড়ছেন। প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণের সময় সৃস্টি হচ্ছে জটলা।

আজ সোমবার উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের সাদিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় দেওভোগ গ্রামবাসীর উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া শেষে গ্রামে কর্মহীন মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করছেন। এ সময় স্থানীয় ইসমাইল, ইসমত আলী, দীল মোহাম্মদ দিলু, আমজাত হোসেন ও রুবেলের নেতৃত্বে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন। তারা সামজিক দূরত্ব না মেনে একে অন্যের শরীর ঘেষে ছবি তুলতে ব্যস্ত।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা বলেন, নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ত্রাণ বিতরণ করলে দাতা এবং গ্রহীতা উভয়েই নিরাপদ থাকবেন। ত্রাণ বিতরণের সময় অবশ্য মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোবস থাকতে হবে সম্ভব হলে পিপিই পরিধান করা এবং গ্রহীতাকে মাক্স ও হ্যান্ড গ্লোবস বিতরণ করলে সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত থাকবে। এভাবে অনুদানের ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

এ ব্যপারে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আমরা দিনরাত কাজ করছি। আমাদের দেখলেই দূরত্ব বজায় রাখে চলে গেলে নিয়ম ভেঙে আড্ডায় মেতে ওঠে। যারা ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছে তাদের নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই দূরত্ব বজায় রাখতে বলেছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।