ইতালির পর স্পেনে লাশের সুনামি শুরু হয়েছে। ইউরোপের দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৮১২ জনের প্রাণ কেড়েছে ভয়ঙ্কর করোনাভাইরাস। এছাড়া নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ।
সোমবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, স্পেনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৮৫ হাজার ১৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববারও এই সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ৭৯৭ জনে। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দেশটি এখন চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে; চীনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৪৭০।
নতুন করে ৮১২ জনের প্রাণহানির পর দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৪০ জনে। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশটির সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিলেও এর লাগাম টানতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
করোনার প্রাদুর্ভাব কমিয়ে আনতে দেশটির সরকার সোমবার থেকে বেশকিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। এতে বলা হয়েছে, সোমবার থেকে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটির অপ্রয়োজনীয় কর্মীরা বাড়িতে অবস্থান করবেন। গত ১৪ মার্চ থেকে দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়।
একদিন আগে রোববার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত অন্তত ৮৩২ জনের প্রাণহানি ঘটে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে করোনার ভয়াবহ প্রকোপ শুরু হয়েছে ইতালি এবং স্পেনে। এই দুই দেশে আক্রান্ত এবং প্রাণহানি করোনার উৎপত্তিস্থল চীনের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারা। দেশটিতে মোট আক্রান্ত প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার ৭৯৩ জন। আর মৃত্যু বেশি হয়েছে ইতালিতে। দেশটিতে মারা গেছে ১০ হাজার ৭৭৯ জন।
২০১৯ সালের চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে বিশ্বের ১৯৯ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে গেছে কভিড-১৯। এতে আক্রান্ত হয়েছে ৭ লাখ ৩৭ হাজার মানুষ। মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজার ৯৫৯ জনের। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৩ জন মানুষ।
সূত্র : দ্য হিন্দু।