সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম
বিশ্বের উন্নত দেশের জনগণ বিপদে-আপদে পুলিশকে পরম বন্ধু হিসেবে দেখে থাকে। বাংলাদেশের পুলিশও জনগণের জানমালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সেবার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে থাকেন। কিন্তু পুলিশ জনগণের কতটা আস্থা অর্জন করতে পেরেছে এ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে।
কিছু কিছু পুলিশ কর্মকর্তার অপকর্মের কারণে পুলিশের ভাবমুর্তি মাঝে মধ্যে ক্ষুন্নও হয়েছে। তবে পুলিশের এমন কিছু কর্মকর্তা রয়েছেন যারা নিজের সুবিধার কথা চিন্তা না করে অসহায় জনগণের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। দেশ এবং জনগণের জন্য নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনসাধারণের জন্য কাজ করেন। এ ধরণের পুলিশ কর্মকর্তাদের কর্মকান্ডের কারণে জনগণ পুলিশকে পরমবন্ধু হিসেবে মূল্যায়ন করে থাকে। এমনই একজন পুলিশ কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসীম উদ্দীন।
যিঁনি নিজেকে কখনও ওসি হিসেবে নয়, জনগণের একজন সেবক হিসাবে অতিসাধারণ বেশে জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেন। চন্দ্রগঞ্জ থানায় যোগদানের পর থেকে ওসি জসীম উদ্দীন কিছু কিছু অভিযোগ নিজ দায়িত্বে থানায় বসে মিমাংসা করার চেষ্টা করেন। মাদক নির্মূল এবং অপরাধ দমনেও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন তিঁনি। মহামারি করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগ মুহুর্তে জনসচেতনতামুলক কার্যক্রমে তাঁর প্রশংসা অতুলনীয়।
যিঁনি গভীর রাতেও কোন সংবাদ পেলে নিজেই ছুটে যান ঘটনা স্থলে। যার ফলে তিনি চন্দ্রগঞ্জ থানা বাসির কাছে একজন যোগ্য অফিসার।
পুলিশ জনতা-জনতাই পুলিশ, পুলিশ জনগনের বন্ধু এবং সেবক, এই কথাগুলো বাস্তবে প্রমাণ করেছেন চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি। মানুষ অসহায় হয়েই পুলিশের কাছে আসে। পুলিশ হয়তো সব সমস্যার সমাধান করতে পারবে না, কিন্তু মনযোগ দিয়ে তাদের কথাগুলো শোনেন এবং করণীয় সম্পর্কে তাদেরকে বুঝিয়ে বলেন ওসি জসীম উদ্দীন। সামান্যতম অহংকারও তাঁর মাঝে নেই। থানার ওসি জসীম উদ্দীন বলেন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব। যেসব বৃত্তবানদের সামর্থ আছে, এই মহামারি করোনাভাইরাস এর মতো মহা দুর্যোগে তাঁদের ঘুমন্ত মানবতা জেগে উঠবে এটাই আমার বিশ্বাস।