মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় গত ৬ এপ্রিল সরকার ঘোষণা দেয় বিদেশ থেকে যারা দেশে ফিরবে তারা সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনের নিকটে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকবে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১১তম দিনে ভারত থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ৭৯ জন নারী পুরুষ ও শিশু।
ভারত থেকে ফেরত আসা পাসপোর্টযাত্রীদের ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে নিকটস্থ প্রাতিষ্ঠানিক কেন্দ্রে। শুক্রবার বেলা ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এ পথে ভারত থেকে আটকে পড়া চিকিৎসা ও ভ্রমণ শেষে দেশে ফেরে ৭৯ জন বাংলাদেশি নারী পুরুষ ও শিশু।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান কবির বলেন, ফেরত আসাদের বিশেষ নিরাপত্তায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হচ্ছে। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এদের পুলিশ, বিজিবি, উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নির্দিষ্ট গন্তব্য নিয়ে যাচ্ছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার শুভঙ্কর কুমার মন্ডল জানান, ভারত ফেরতদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কারো শরীরে করোনার কোনো সংক্রমণ নেই। সবার শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক আছে।
ভারত ফেরতদের দায়িত্বে থাকা শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভারত থেকে ফেরত আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিন রাখা হচ্ছে। আজ যে ৭৯ জন যাত্রী এসেছেন এদের আমরা যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের গাজির দরগাহ নামক একটি মাদরাসায় নিয়ে যাব। সেখানে এরা ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পর যদি কারো শরীরে করোনা সংক্রামক ধরা না পড়ে সরাসরি বাড়ি চলে যাবে।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ভারত ফেরতদের ১৪ দিনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৫৬৬ জনকে বেনাপোল পৌর বিয়েবাড়ি ও যশোরে গাজীর দরগাহে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।