মুবিন

 রংপুরে পরশুরামে কিশোরীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে স্বজনদেরকে মারধর করাহয়। রংপুর পরশুরাম থানার বাহাদুর সিংহ গ্রামের রুহুল কুদ্দুস রুবেলের মেয়ে রুকাইয়া আক্তার রশ্নি (১৫), অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী প্রতিনিয়ত বুরিরহাট হাই স্কুলে পায়ে হেঁটে একাই যাতায়াত করতো। ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বখাটে ছেলে মিরাজ হাসান তাকে সব সময় বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে উত্ত্যক্ত করতো। (রশ্নি) বাড়িতে এসে একদিন বাবা কে বলে, মিরাজ হাসান আমাকে স্কুলে যাতায়াতের সময় বিরক্ত করে আজে-বাজে কথা বলে। রুবেল মিরাজ হাসান কে ডেকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে, বাবা তোমার ঘরেও তো বোন আছে আমার মেয়েকে বিরক্ত করো না। এই কথায় হাসান ক্ষিপ্ত হয়ে বলে, আপনি পারলে কিছু করেন। বেশি কথা বললে আপনার মেয়েকে উঠিয়ে  নিয়ে যাব একথা বলে চলে যায়। কিছুদিন পর করোনা ভাইরাসের জন্য স্কুল বন্ধ দেওয়া হলে তারা আর উত্ত্যক্ত করার সুযোগ পায় না। ফলে গত ০৯.০৪.২০২০ ইং তারিখ আনুমানিক রাত সাড়ে তিনটার দিকে সংঘবদ্ধ হয়ে (রশ্নি)কে অপহরণ করার উদ্দেশ্যে হাসান বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। টিন কাটার শব্দ পেয়ে বাড়ির মানুষ জেগে উঠে, এবং এই বিষয় সম্পর্কে হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য হাসানকে ধরলে হাসান চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে। হাসানের চিৎকার শুনতে পেয়ে, বাড়ির বাহিরে ওত পেতে থাকা আট দশজন সন্ত্রাসী বাড়ির ভেতর লাঠিসোটা নিয়ে প্রবেশ করে। বাড়ির লোকজনকে  মারধর করে হাসানকে নিয়ে যায়, যাওয়ার সময় তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয় যায়। পরদিন সকালে ১১ টার দিকে ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর লেবু সরকারকে, রাতের ঘটনা জানানো হয়। ওই সময় পরশুরাম থানার ওসি ও উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু ব্যাপারটা তারা দুজন কোন রকম গুরুত্ব না দিয়েই বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ভুক্তভোগীদের। কাউন্সিলর ও থানার ওসিকে এই বিষয়ে জানানোর কথা শুনে, হাসান তার সন্ত্রাসী দল নিয়ে বাড়িতে হামলা করে। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারধর ও ভাঙচুর চালায় সিরাজুল ইসলামের ছেলে মিরাজ হাসান,  মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে আ: জলিল ও আফজালুল হক মিন্টু, আ: জলিলের ছেলে হৃদয়, মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে এখলাছ , পিতা মৃত আলিম উদ্দিনের ছেলে  শাহনুররহমান (হাসু), মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে সৈকত , আফজালুল হকের মিন্টুর ছেলে মিঠুন, মতিউল ইসলাম জুলুর ছেলে ইমরান। এই সময় নজরুল আমিন ( ৫৫) কে আব্দুল জলিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ দিলে মাটিতে লুটিয়ে পরেন তিনি। এই অবস্থায় তাকে আশেপাশের লোকজন ও স্বজনরা  ধরাধরি করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।      ভুক্তভোগী রুহুল কুদ্দুস রুবেল বলেন, রাতের ঘটনার পরদিন ১১/৪/২০২০ইং তারিখ  সকাল ১১ টার দিকে আমরা ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর লেবু সরকারের কাছে যাই। সেখানে উপস্থিত ছিল পরশু রাম থানার ওসি তাদের কাছে রাতের পুরো ঘটনাটা বলি। তারা ঘটনা শুনে আমাদের কোনো সমাধান না দিয়ে বুঝিয়ে শুনিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়িতে আসার সাথে সাথে মিরাজ হাসান ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়ি ভাঙচুর ও মারধর শুরু করে।এসময় আমার মামাকে আব্দুল জলিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ মারে এবং সে মাটিতে পড়ে গেলে তাকে রংপুর মেডিকেলে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ওই দিন যদি কাউন্সিলর বিচার করতো আর থানার ওসি অভিযোগ নিতো তা হলে এতো বড় ঘটনা ঘটতো না। এখন থানায় ১৫/৪/২০২০ইং তারিখে  অভিযোগ করার পরও থানায় মামলা নিচ্ছে না বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছে ওসি। আর সন্ত্রাসীরা আমাদের প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমার একটাই দাবি এই সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা হোক ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।  গত ১৫ এপ্রিল এই মারধরের ঘটনাটি, থানায় অভিযোগ করা হলে এখন পর্যন্ত ঘটনাটি এজহারভুক্ত হয়নি ফলে, পরশুরাম থানার ওসি আব্দুল গনির মুঠোফোনে ফোন দিয়ে এ বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি বলেন; রুহুল কুদ্দুস রুবেলের মারধরের ঘটনা টি আমি জানি এবং ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লেবু সরকার ও বিষয়টি জানেন, তিনি আরো বলেন রুহুল কুদ্দুস রুবেল দের ও কিছু সমস্যা আছে আমি বিষয়টি দেখব।