মহামারী করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না এই সংক্রমণ। এরই মধ্যে কোভিড ১৯-এ মৃত্যুর সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ লাখের বেশি মানুষ।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে প্রাণহানি ও আক্রান্তের সবশেষ পরিসংখ্যান রাখার আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্যানুযায়ী, রোববার বেলা ১টা পর্যন্ত ২১০ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে ২ লাখ ৩ হাজার ২৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ লাখ ২১ হাজার ৪৩৯জন। আর আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৮ লাখ ২৪ হাজার ৯০৪ জন মানুষ।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে ১৮ লাখ ৬৪ হাজার ৬৬৪ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫৮ হাজার ১৩৩ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী- এখন পর্যন্ত ভাইরাসটির আক্রমণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৯ লাখ ৬০ হাজার ৬৫১ ।

অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৪ হাজার ২৫৬ জন। ইতোমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ১৬২ জন। তবে ১৫ হাজার ১১০ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।

মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। নতুন ৪১৫ জনসহ দেশটিতে মারা গেছেন ২৬ হাজার ৩৮৪ জন। দেশটিতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৩৫৭ জন।

মৃতের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকা স্পেনে অবশ্য ইতালির চেয়েও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ২৩ হাজার ৭৫৯ জন। আর মারা গেছেন ২২ হাজার ৯০২ জন।

এ ছাড়া ফ্রান্সে ২২ হাজার ৬১৪ জন, ব্রিটেনে ২০ হাজার ৩১৯, জার্মানিতে ৫ হাজার ৮০৫ মৃত্যুবরণ করেছেন।

গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে গতকাল শনিবার পর্যন্ত আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৪০ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া গতকাল পর্যন্ত নতুন করে আরও ৩০৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট চার হাজার ৯৯৮ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এদিকে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, জাপান ও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে করোনায় সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে। তবে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়ার কারণে দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং ও তাইওয়ানের মতো দেশ ও অঞ্চলগুলোতে সংক্রমণ অনেক কম।