৩০ এপ্রিল- গত ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে সাধারণ ছুটি। এর পর কেটে গেছে ৩২ দিন। ৩৩তম দিনে এসে কিছুটা শিথিল করা হয়েছে নিয়ম-কানুন।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) থেকে পাড়া-মহল্লার দোকানপাট বন্ধের সময় বেড়েছে। শুরু হয়েছে হোটেল-রেস্টুরেন্টে ইফতার বিক্রিও।
দুপুর থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই এলাকাবাসীরা ঘরের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনেছেন। আর থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টির মধ্যে এলাকার রেস্টুরেন্ট থেকে সুস্বাদু ইফতার সামগ্রী কিনেছেন শেষ বিকেল থেকে।
দুপুর আড়াইটার দিকে কথা হয় গেণ্ডারিয়ার বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক মো. আলতাফের সঙ্গে। তিনি বলেন, সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার পর গত ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সন্ধ্যা পর্যন্ত বেচাবিক্রি করছি। এর পর থেকে প্রত্যেকদিনই নিয়ম মেনে ২টার সময় বন্ধ করেছি। প্রথম দিকে সব ঠিকই ছিল। কিন্তু গত শনিবার থেকে রোজা শুরু হওয়ায় অনেকেই ইফতারের আগ মুহূর্তের কেনাকাটা করতে বিপদে পড়েছেন। ৪টা পর্যন্ত খোলা থেকেও সেই সমস্যা রয়ে গেছে। সুপার শপের মতো ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখার দরকার ছিল।
ওই দোকানের সামনে কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা নাসির উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে দুপুর ২টায় বন্ধ করতো ঠিক ছিল। এখন রোজার মাস। ইফতারের আগ পর্যন্ত খোলা রাখার দরকার দোকানগুলো। অনেক সময় দেখা যায় ঘরের অনেক কিছু শেষ হয়ে গেছে, এটা শেষ মুহূর্তে টের পাওয়া যায়।
সাধারণ ছুটির পর থেকেই বিক্রি বেড়েছে সুপার শপগুলোর। রাজধানীর সেগুনবাগিচার আগোরার এক কর্মচারী বলেন, গত ৮ মার্চ যখন দেশে প্রথম করোনা রোগীর খবর এলো, এর পর থেকে বিক্রি ভালো। কারণ অনেকেই এখন মুদি দোকান ও বাজার এড়িয়ে চলছেন। সে কারণে সুপার শপগুলোতে তাদের ভিড় বাড়ছে।
বিজয়নগর স্বপ্নের আউটলেটের এক কর্মচারীও একই কথা বললেন। তিনি যোগ করে বলেন, সকাল ১০টা থেকেই ভিড় শুরু হয়। এখন রোজার মাসের কারণে ভিড় আগের চেয়ে বেশি।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর হোটেল-রেস্টুরেন্টে ইফতার সামগ্রী বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে হোটেলের ভেতরে খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা ছিল না।
এবারের রোজার মাসের প্রথম দিনের মতো বাইরের ইফতার সংগ্রহ করতে অনেকেই ভিড় জমিয়েছিলেন পাড়া-মহল্লার হোটেলগুলোতে। যেখানে শারীরিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি। তবে বৃষ্টির কারণে এটি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হোটেলের মালিকরা।
গেণ্ডারিয়ার আবির বেকারির সামনে ইফতার সামগ্রী কিনছিলেন আবদুল কাদের জিলানী। তিনি বলেন, ইফতারে হালিমটা আমার খুবই প্রিয়। আমার স্ত্রী হালিম বানাতে পারেন না। হোটেল বন্ধ থাকার কারণে হালিম খেতে পারছিলাম না। আজকে এজন্য হালিম কিনতে বেরিয়েছি।
ভিড় ছিল ফুটপাতে বসা ইফতারের দোকানগুলোতেও। যদিও ফুটপাতে কোনো দোকান না বসার কথা ছিল। কিন্তু রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ ও সেগুনবাগিচা এলাকার ভেতরের রাস্তায় ইফতারের পসরা নিয়ে বসতে দেখা গেছে অনেককেই।
সূত্র : বাংলানিউজ