দেশে কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৬৫তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারী করোনাভাইরাস আরও ১১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৩৪ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ৭২০৮।  

সোমবার দুপুরে এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসে বিস্তারিত জানান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে করোনার বিস্তার রোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগেরপরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়। এর আগে অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান নাসিমা।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৪১ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন দুই লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন চৌদ্দ লাখের বেশি মানুষ।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এ ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে এ ছুটির মেয়াদ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চতুর্থবারের মতো ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশবাসীকে নিজ বাড়িতে থাকার আহ্বান জানানো হয়। পরে সেটাও বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। পরে পঞ্চমবারের মতো করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ১৬ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার।

ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।