করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ৬০ বছর বয়সের এক বৃদ্ধ লাশ হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়েরের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে এলাকার লোকজনের বাধার মুখে ওসির নেতৃত্বে ১০ জন পুলিশ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ২ জন কর্মকর্তা নিহতের জানাজায় অংশগ্রহণ ও দাফন করেন, অসুস্থ হয়ে চট্রগ্রাম থেকে আসার দুদিন পর করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান হাতিয়া উপজেলার জয়নাল আবদিন নামে ৬০ বছর বয়সের এক বৃদ্ধ। ভোরে ওসির নেতৃত্বে লাশ দাফন করা হয়েছে। থানা পুলিশ ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের তত্তাবধানে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়।
শনিবার ভোরে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার উপজেলা সদরে অবস্থিত আইসোলেসন ইউনিটে ( মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে) তার মৃত্যু হয়। এদিকে এলাকার লোকজনের বাধার মুখে প্রশাসনের সহযোগিতায় লাশ দাফন করা হয়। কিন্তু নিহতের একমাত্র ছেলে ছাড়া আর কোন স্বজন লাশ দাফন ও জানাজায় অংশগ্রহণ করেন নি।
জানা যায়, নিহত জয়নাল আবেদিন চট্রগ্রামে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরি করতেন। অসুস্থ হয়ে গেলে তার সন্তানেরা তাকে গ্রামের বাড়ি হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে নিয়ে আসে। তার অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইজন ডাক্তার শুক্রবার বিকালে তার বাড়িতে যান করোনা উপসর্গ আছে কি না দেখতে। কিন্তু রোগীর ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া হয়েছে দেখে তাৎক্ষণিক কিছু চিকিৎসা দেন তারা। রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে অক্সিজেন ও দেওয়া হয়। রাতে তার অবস্থা আরো খারাপ হওয়ায় তাকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। শনিবার ভোরে তিনি মারা যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নিজাম উদ্দিন মিজান জানান, রোগীর মধ্যে কিছু উপসর্গ থাকায় নিহত জয়নাল আবেদিন ও তার দুই ছেলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ ব্যপারে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের জানান, লাশ দাফনে এলাকার লোকজন একটু বাধা দেয়, থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়।