ভোলার মনপুরার ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডব চলাকালীন সময়ে রাতে সদ্য জন্ম নেওয়া সন্তানের নাম রাখা হয়েছে ‘আম্ফান’। বুধবার রাতে প্রসব বেদনা নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মনপুরা হাসপাতালে ভর্তি হলে হাসপাতালে ভর্তি হয় এক প্রসূতি মা। বৃস্পতিবার ভোর রাতে হাসপাতালে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। পরে ডাক্তার ও নার্সরা খুশিতে ওই জন্ম হওয়া ছেলে সন্তানের নাম দেয় ‘আম্ফান’। মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চর যতিন গ্রামের বাসিন্দা ছালাউদ্দিনের স্ত্রী সামিয়া (২৫) বেগম হলেন আম্ফানে মা।
জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের রাতে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয় সামিয়া। পরে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভোলা নেওয়া যায়নি তাকে। তারপর মনপুরা হাসপাতালের ডাক্তর ও নার্সদের সেবায় সুস্থ অবস্থায় প্রথম ছেলে সন্তান ‘আম্ফান’ পৃথিবীতে আসে। সেই খুশিতে ডাক্তার-নার্সরা জন্ম নেওয়া ওই ছেলের নাম দেয় আম্ফান। এখন মা ও সন্তান আম্ফান সুস্থ রয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রশীদ জানান, ওই প্রসূতি মা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে ওই প্রসূতি মা ছেলে সন্তান প্রসব করলে আমরা নাম দেই আম্ফান। মা ও ছেলে সুস্থ আছে। সকালে বাড়ি চলে গেছে।