রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, নিজে ভালো থাকি, অন্যকে ভালো রাখি— এটাই হোক এবারের ঈদে সকলের অঙ্গীকার। সোমবার (২৫ মে) সকালে বঙ্গভবনের দরবার হলে ঈদের নামাজ শেষে এক ভিডিও বার্তায় তিনি একথা বলেন।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি এই মহামারি করোনা সংকটকালে এবং দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র জনগণের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’ এসময় তিনি করোনাভাইরাস এবং ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ এবং নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে আক্রান্ত ও আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করেন।

রাষ্ট্রপতি হামিদ সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদ উদযাপনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারনে এ বছরে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে একটি ভিন্ন পরিবেশে। আমরা এমন একটি সময়ে ঈদ উদযাপন করছি, যখন সারাবিশ্ব কোভিড-১৯ ভাইরাসে বিপযর্স্ত। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের সংক্রমন বেড়েই চলেছে। এ সময়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যথাযথ সামাজিক দায়িত্ব পালন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঈদের আনন্দ করতে যেয়ে আমাদের এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যা নিজের ও অপরের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।

ঘরে বসেই ঈদের আনন্দ উপভোগ করা এবং আমাদের চারপাশের অসহায় মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘নিজে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি এবং অন্যকেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করি।’

ঘূর্ণিঝড়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের ক্ষয়ক্ষতির উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এ সকল মানুষ সহায়-সম্বল হারিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। সরকার দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য জরুরিভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সহায়তা দিচ্ছে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। মানবিক মূল্যবোধ ও পারস্পরিক সহাবস্থান, পরমতসহিঞ্চুতা ও সাম্যসহ বিশ্বজনিন কল্যাণকে ইসলাম ধারণ করে। ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তুলক সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন।’ তিনি ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।