kader
kader

অধিকাংশ মানুষের ঘরে না থেকে উদাসীন জীবন-যাপনের কারণে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২৬ মে) সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, অধিকাংশ মানুষের মধ্যে ধৈর্য ও শৃঙ্খলার ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে অবস্থান করলেও, অনেকেই এসব কানেই তুলছেন না। স্বাভাবিক সময়ের মতো ঘোরাফেরা করছেন, হাটবাজারের ভিড়ে অংশ নিচ্ছেন, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছেন না। করছেন না দায়িত্বশীল আচরণ।

তিনি বলেন, এ উদাসীনতা নিজের ও আশপাশের সবার ভয়ানক বিপদ ডেকে আনছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ উদ্যোগের অবনতি ঘটাচ্ছে। এতে উদ্বেগের পাশাপাশি বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু।

জনগণকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দয়া করে আসুন সবাই সচেতন হই। কারণ প্রতিকার সমাধান নয়, এ রোগ থেকে বাঁচতে ও সুরক্ষা পেতে প্রতিরোধের বিকল্প নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা সংকটের শুরু থেকে আজ অবধি শেখ হাসিনা সরকারের উদ্যোগ, গৃহীত ও বাস্তবায়িত সিদ্ধান্ত যখন দেশ-বিদেশে প্রশংসিত, তখন মির্জা ফখরুল সাহেবরা পুরানো নেতিবাচকতার বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছেন।

বিএনপিকে কোনো কর্মসূচিতে সরকার বাধা দেয়নি- দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পবিত্র ঈদের দিনেও জনগণ তাদের মুখের বিষ থেকে রেহাই পায়নি। সরকার একদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ ও আক্রান্তদের চিকিৎসা দিচ্ছে, অপরদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করছে। এ অবস্থায় বিএনপিকে কোনো কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া, মিথ্যাবাদী রাখাল বালকের গল্পের মতো।

যে কোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনাভাইরাস সংকট এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগই জনগণের পাশে থাকে। দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য।