নতুন একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, সহবাস করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। দম্পতিদের বেডরুমে কিছু প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যার মধ্যে চুম্বন এড়ানো, সহবাসের আগে এবং পরে গোসল করা, এমনকি সহবাসের সময় ফেস মাস্ক পরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা তাদের এই গবেষণায় স্বীকার করেছেন, অনেকের পক্ষেই সহবাস এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়। ফলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ জন্য মানুষজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গবেষণাপত্রটি অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশ করা হয়েছে।

গবেষণাপত্রটির মূল লেখক ডা. জ্যাক টার্বনের মতে, ‘আপনার বা আপনার সঙ্গীর মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখা দিলে, সহবাস এড়ানো উচিত। আইসোলেশনে থেকেছেন এমন ক্ষেত্রে সহবাস নিরাপদ হতে পারে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে, করোনা আক্রান্ত উপসর্গবিহীন সঙ্গীর মাধ্যমে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকতে পারে।’

এর আগে থাইল্যান্ডের ডিজিজ কন্ট্রোল বিভাগের সিনিয়র মেডিকেল বিশেষজ্ঞ বীরাওয়াত মনসুঠি কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়ার ব্যক্তিদের ৩০ দিনের জন্য অন্তরঙ্গ হওয়া এড়ানো উচিত বলে পরামর্শ দেন। এমনকি চুম্বনের ক্ষেত্রেও সতর্ক করেন।

তাঁর মতে, যারা ভাইরাসটি থেকে মুক্ত হয়েছেন বলে নিজেরা বিশ্বাস করেন তাদের যৌনমিলনের সময় কনডম ব্যবহার করা উচিত। চুম্বনও এড়ানো উচিত। কারণ করোনাভাইরাস মুখের মাধ্যমেও ছড়িয়ে যেতে পারে।’

চীনের একটি গবেষণার উপর ভিত্তি ডা. মনসুঠি এই পরামর্শ দেন। ওই গবেষণায় দেখা যায়, কিছু পুরুষের বীর্যে ভাইরাসটির উপস্থিতি রয়েছে।’

চীনের শাংকিউ মিউনিসিপ্যাল হাসপাতালের গবেষকরা হেনান প্রদেশের ৩৮ জন পুরুষ করোনাভাইরাস রোগীর বীর্যের নমুনা নিয়েছিলেন। দলটি ২৬ জানুয়ারি এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি দুই দফা নমুনাগুলো বিশ্লেষণ করেছেন এবং দেখেছেন যে, ১৬ শতাংশ পুরুষের বীর্যতে ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে।

জেএএমএ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটিতে গবেষকরা লিখেছেন, ‘বীর্যতে ভাইরাসের উপস্থিতি বর্তমানে যতটা বোঝা যায় তার চেয়ে বেশি সাধারণ হতে পারে এবং বীর্য নিঃসরণের সময় ভাইরাসটি সম্পূর্ণ অনুপস্থিত বলে ধরে নেওয়া উচিত নয়।’