অনলাইন ডেক্স:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে তার দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, জোরপূর্বক স্থানচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের অবশ্যই তাদের নিজ বাসভূমিতে ফিরে যেতে হবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রিম ইব্রাহিম আল হাশিমী শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের অবশ্যই মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে তাদের নিজ বাসভূমিতে ফিরে যেতে হবে।’

সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী আরব আমিরাতের মন্ত্রীকে রোহিঙ্গা সংকটের বর্তমান পরিস্থিতি সংক্ষেপে অবহিত করে বলেন, বাংলাদেশ সরকার অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সহায়তা করছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এ ইস্যুতে আলোচনা করেছে এবং তাদের প্রত্যাবাসনে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

তিনি বলেন, ‘কিন্তু তাদের প্রত্যাবাসন এখনও শুরু হয়নি।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের আরো উন্নত সুবিধা দিতে তাদের অস্থায়ী আশ্রয়ের জন্য একটি দ্বীপকে প্রস্তুত করছে।

আমিরাতের মন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারকে তার দেশের অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

তিনি ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে সম্ভাব্য সকল সহযোগিতাসহ বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির ভূয়সী প্রশংসা করেন। রিম ইব্রাহিম আল হাশিমী দু’দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, তিনি এই সম্পর্ক আরো জোরদারে কাজ করবে।

প্রধানমন্ত্রী ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রী আমিরাত ও বাংলাদেশের মধ্যে ফ্লাইট সংখ্যা আরো বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। খবর: বাসস