বাংলাদেশকে ১০৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। এই অর্থ বাংলাদেশের প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার মতো। মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস মহামারির পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি জোরদার এবং ভবিষ্যতে সংকট মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা অর্জন করা-এমন তিনটি প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংক এই অর্থ অনুমোদন করেছে।
বিশ্বব্যাংকের সদর দফতরে শুক্রবার (১৯ জুন) এ ঋণ সহায়তা অনুমোদন করা হয়। শনিবার (২০ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিস এসব তথ্য নিশ্চিত করে।
এতে জানানো হয়, করোনা মহামারিতে সৃষ্ট নাজুক অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে সংকট মোকাবিলা করার লক্ষ্যে এই তিনটি প্রকল্পে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, ৫০ কোটি ডলার ব্যায়ে বেসরকারি বিনিয়োগ এবং ডিজিটাল এন্টারপ্রেনারশিপ প্রকল্পে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার প্রত্যক্ষ বেসরকারি এবং সরকারি বিনিয়োগ হবে। এই প্রকল্প ১ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। এছাড়া নানা ধরনের প্রশিক্ষণ পাবেন ১ লাখ বেকার। অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২০ শতাংশ চাকরি নারীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। চট্টগ্রামের মিরসরাই-ফেনীতে দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরও উন্নয়ন করবে। আইটি এবং আইটিইএস সেক্টরসহ দেশি-বিদেশি বেসরকারি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করবে এই প্রকল্প।
এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি নামে অপর এক প্রকল্প সরকারি সংস্থার জন্য একটি সমন্বিত, ক্লাউড-কম্পিউটিং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করবে এবং সাইবার-সুরক্ষা উন্নত করবে। প্রকল্পটি এক লাখ নারীদের কর্মসংস্থান তৈরি করবে, ডিজিটাল এবং বিপর্যয়কর প্রযুক্তিতে এক লাখ যুবকদের প্রশিক্ষণ দেবে। প্রকল্পটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ এবং কৌশলগত শিল্পকে ডিজিটালাইজড করতে সহায়তা করবে। এছাড়াও সেকেন্ড প্রোগ্রামেটিক জবস ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট’ প্রকল্পে ২৫ কোটি ডলার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।