করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ: সম্প্রতি করোনাভাইরাস, যার পোশাকি নাম কোভিড-১৯, সেই রোগটিকে এখন বিশ্ব মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, এ ভাইরাসটি একজন মানুষের দেহ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে দ্রুত ছড়াতে পারে। করোনা ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেই এটি একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়ায়। এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের সফল কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। আর সে কারণেই দিন দিন বিশ্বব্যাপী দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল।
ভাইরাসটা কী:
করোনাভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস – যা এর আগে কখনো মানুষের মধ্যে ছড়ায়নি।
এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী প্রাণহানি হয়েছে চার লাখের বেশি মানুষের। বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ লাখের কাছাকাছি। (তথ্য আপডেট করা হয়েছে ৭ই জুন)
ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯ – এনসিওভি বা নভেল করোনাভাইরাস। এটি এক ধরণের করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ছয়টি প্রজাতি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। তবে নতুন ধরণের ভাইরাসের কারণে সেই সংখ্যা এখন থেকে হবে সাতটি।
কারও করোনাভাইরাস পজিটিভ হলে ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি।
অ্যান্টিবডি তৈরি করতে হলে যা প্রয়োজন:
১. ভিটামিন সি (যথাসম্ভব) খেতে হবে।
২. ভিটামিন ই খেতে হবে।
৩. প্রতিদিন বেলা ১১টার মধ্যে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রোদ পোহাতে হবে।
৪. প্রতিদিন খেতে হবে কমপক্ষে ১টি করে ডিম।
৫. প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
৬. প্রতিদিন কমপক্ষে ১.৫ লিটার পানি করতে হবে।
৭. প্রতি বেলায় গরম খাবার খাওয়া।
করোনাভাইরাসের দেহেরে পিএইচ-এর মান ৫.৫ থেকে ৮.৫। তাই এর চেয়ে বেশি পিএইচ মানের খাবার গ্রহণের মাধ্যমে আমরা এর রাসায়নিক গঠন ভেঙে দিতে পারি। .
ভাইরাস থেকে বাঁচতে যা যা করতে হবে :
১. আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে দুই হাত দূরে থাকতে হবে। ২. বারবার প্রয়োজনমতো সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলা, বিশেষ করে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে কিংবা সংক্রমণস্থলে ভ্রমণ করলে। ৩. জীবিত অথবা মৃত গৃহপালিত/বন্যপ্রাণী থেকে দূরে থাকা। ৪. ভ্রমণকারীগণ আক্রান্ত হলে কাশি শিষ্টাচার অনুশীলন করতে হবে (আক্রান্ত ব্যক্তি হতে দূরত্ব বজায় রাখা, হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা, হাত ধোয়া, যেখানে-সেখানে কফ কাশি না ফেলা)।
এই ভাইরাসের পূর্ববর্তী লক্ষণগুলো হলো –
১.সর্দি
২.গলা ব্যথা
৩. কাশি
৪ .মাথা ব্যাথা
৫.জ্বর
৬.হাঁচি
৭.অবসাদ
৮.শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।
দেশে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ