পৃথিবীতে সবচেয়ে ভারী বস্তু হচ্ছে বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ। এমন ভারী বস্তুর ভার অনেকে বইতে পারেন না। তেমনি এক হতভাগ্য বাবা লাকসাম উপজেলা বিআরডিবির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক মজুমদার (৮৫)। একদিকে বার্ধক্য। অন্যদিকে ছেলে হারানোর শোক কিছুতেই সইতে পারলেন না তিনি। ছেলেকে হারিয়ে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। অবশেষে ছেলের মৃত্যুর ১০ দিন পর শনিবার তিনিও চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
গত ১৬ জুন মো. আজিজুল হক মজুমদারের ছেলে লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইকবাল হোসেন মজুমদার মিঠু (৫৩) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই সময় তার বাবা মো. আজিজুল হক মজুমদার শারীরিকভাবে অনেকটা সুস্থ থাকলেও ছেলের অকাল মৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। অত্যন্ত আদরের ছেলেকে হারানোর শোকে তিনিও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ওই দিনই তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
লাকসামের পাশের উপজেলা নাঙ্গলকোটের আদ্রা ইউনিয়নের পদুয়া মজুমদার বাড়ির দুই কৃতিসন্তান মো. ইকবাল হোসেন মজুমদার মিঠু এবং বাবা মো. আজিজুল হক মজুমদার অত্যন্ত স্বল্প সময়ের ব্যবধানের মৃত্যুতে পরিবারসহ পুরো এলাকাজুডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অত্যন্ত সদালাপী মো. আজিজুল হক মজুমদার এলাকায় হক সাহেব নামে খুব পরিচিত। তিনি এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।