স্টাফ রিপোর্টার:সৈয়দ এমরানুর রহমান ।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ঝিনাইয়া গ্রামের মরহুম হাজী আলি আকবর মুন্সীর তিন নম্বর পুত্র এবং হাজী আব্দুল লতিফ মুন্সীর ছোট ভাই আব্দুল মতিন মুন্সী ওরুফে (তবদল মতিন)ও তার তৈরী করা দুই নাম্বার পুত্র জহিরুল ইসলাম শরিফ (ওরুফে চাকা মিয়া )নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে এবং সম্পদ দখলের জন্য রাতের আঁধারে হত্যার উদ্দেশ্য রড,দা,গ্যাস পাইপ নিয়ে আঘাত করে সাইফুর রহমান শুভ নামের এক ছাত্রের উপর ।হামলার স্বিকার সাইফুর রহমান শুভ আমাদের জানান মতিন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অবৈধ হুন্ডির ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে যার যোগানদাতা হিসেবে ওমান থেকে অবৈধ টাকা প্রেরন করে আসছে মতিনের দ্বিতীয় ছেলে জহিরুল ইসলাম শরিফ(ওরুফে চাকা মিয়া )এতে বাঁধা দিলে মতিন সাইফুর রহমান শুভকে হত্যার জন্য নিশাচর উন্মাদ হয়ে উঠেন।তার ই ধারাবাহিকতায় গত ২০১৮ সালে মতিনের সাথে শুভর কথা কাটাকাটি হয় এবং এক সময় তারা দন্দ্বে জরিয়ে পরে ।পরে বিষয়টির সমাধানের ব্যপারে সাইফুর রহমান শুভর বাবা জনাব মোস্তফা কামাল মুন্সী এলাকা বাসীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন কিন্তু এতে ক্ষান্ত হয়নি হুন্ডি ব্যবসার জনক (আব্দুল মতিন ও তার ছেলে জহিরুল ইসলাম শরিফ)তারা পিতা পুত্র এলাকা বাসীর কথা তুয়াক্কা না করে শুভকে ও শুভর পরিবারের উপর হামলার পরিকল্পনা করে আর সেই পরিকল্পনাকারী আব্দুল মতিনের বড় ছেলে তুহিন মিয়া (কাতার প্রবাসী )পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করার জন্য মতিন তার দুই সন্তানকে ২০১৯ সালে একই সময়ে দেশে আনেন এবং সাইফুর রহমান শুভকে না পেয়ে তখন তারা শুভর বাবাকে হত্যা করতে যায় পরক্ষনে শুভর পরিবার বিষয়টি জানতে পারলে শুভ ঐ সময় তার বাবকে বাড়িতে নিরাপদে নিয়ে আসেন ।পরিকল্পনা নষ্ট হয়ে যাবার ফলে জহিরুল ইসলাম শরিফ(চাকা মিয়া)তার ফেইসবুকে একটি পোষ্ট করেন যা হুবুহু তোলে ধারা হল
“পাহাড়া দিয়ে কত সময় রাখবা সময় একদিন শেষ হয়ে আসবে “
বিষয়টি মরহুম আলি আকবর মুন্সীর দ্বিতীয় ছেলে আব্দুল কাদের মুন্সীকে জানানো হয় জবাবে আব্দুল কাদের মুন্সী বিষয়টির শেষ দেখতে চান বলে জানিয়েছেন সাইফুর রহমান শুভর বড় ভাই ফয়সাল আহমেদ ।
এই ঘটনার সুত্র ধরে ২০২০ সালে জানুয়ারী মাসের ৭ তারিখ রাত আনুমানিক ৭.০০ ঘটিকার সময় আব্দুল মতিন (ওরুফে তবদল মতিন )ও তার ছেলে জহিরুল ইসলাম শরিফ(ওরুফে চাকা মিয়া) পেছন থেকে সাইফুর রহমান শুভকে মাথায় আঘাত করে পরে গুম করার চেষ্টায় যখন ঘরের ভেতরে টেনে হেচরে ডুকাচ্ছিল পাশের ঘরের মানুষের চিৎকারের কারনে তা আর সফল হয়নি ।
ইতিমধ্যেই এঘটনায় সাইফুর রহমান শুভর বড় ভাই ফয়সাল আহমেদ বাদি হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মামলা নং ১০,তারিখ ১০/০১/২০২০.যা এখন মামলাটি মহামান্য আদালতে চলমান অবস্হায় রয়েছে এবং এরমধ্যে উক্ত মামলার ১ নং আসামি জহিরুল ইসলাম শরিফ (উরুফে চাকা মিয়া )ওমানে পালিয়ে গেছেন তিনি এখন ফেরারী আসামী ।
এলাকা বাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে মতিন মুন্সীর পরিবারটির একটি উগ্র ও অশিক্ষিত যার কারনে এলাকার লোক ছাড়া ও পাশের এলাকা রসুলপুর গ্রামের সমাজ সেবক ও শ্রদ্বাবাজন মরহুম আজীজ মেম্বারকে ও লান্চিত হতে হয়েছে মতিনের হাতে ।
মামলায় উল্লেখিত অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের নাম ইতি মধ্যে মামলার আসামি হিসেবে লিপিবদ্ধ করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভুগী পরিবারটি।
উল্লেখ্য ঘটনার ১নং দেশ পলাতক আসামি মাদ্রাসা থেকে কোন রকম পাশ করে ২ বার এইচ,এস,সি ফেল করেন এবং মামলার ২ নং আসামি আব্দুল মতিন ২য় শ্রেনী পাশ করেন ও মামলার ২য় আসামির ১ম ছেলে কোনরকম এইচ,এস,সি পাশ করা ও সোনার গহনা আত্বসাধকারী তুহিন মিয়া ও সাইফুর রহমান শুভ এর পরিবারের শিক্ষার ব্যপকতায় অনেক দিন আগে থেকে যে কোন প্রকারে ভুক্তভুগী পরিবারটির পেছনে ক্ষতির জন্য লেগে আছেন বলে জানিয়েছেন সাইফুর রহমান শুভর বড় ভাই ফয়সাল আহমেদ ।
ইতি মধ্যে মামলার ১নং দেশ পলাতক আসামি ও ২য় আসামি মানুষকে বলে বেড়াচ্ছেন আমরা আওয়ামিলিগ করি আমাদের ক্ষমতার থানা মামলা নিবে না আমার চাচা ও আত্বিয় স্বজন আওয়ামিলের সাথে জড়িত তাই আমরা সব ম্যনেজড করে ফেলব টাকা দিয়ে ।
আমরা জহিরুল ইসলাম শরিফ (ওরুফে চাকা মিয়া) ফেসবুক আইডি খোজে পেলাম ও দেখতে পেলাম তাহার সকল ধরনের পোষ্টে ৮০ শতাংশ বাংলা বানান ভূল পরিলক্ষিত হয়েছে ।এবং তিনি এই ভূল অক্ষরে ভুক্তভুগী পরিবারটিকে এখনো ভিবিন্ন হুমকি দিয়ে আসছেন ।
উক্ত বিষয়টি সমাধানের জন্য সমাজের ভিবিন্ন মহলের মানুষ দ্বারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে আমাদের জানান মামলার ২ নং আসামি আব্দুল মতিন ।এবং বাদি পক্ষ থেকে কোন উত্তর না পেয়ে আসামীপক্ষ একটি মিথ্যা ভিত্তিহীন গল্প রচনা করে মাননীয় আদালতে একটি মামলা করেন এবং এ মামলার তদ্ন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ৩ নং রসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যনের উপর ।এ বিষয়ে আমরা জানতে চাইলে মিথ্যা মামলার বাদি আব্দুল মতিন আমাদের বলেন বিচার না মানার কারনে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা আমাকে একটি কাউন্টার মামলা করতে বলছে এবং আমি করেছি ।