চট্রগ্রাম সহকারী ব্যুরো-জাফর আহমেদ রাহাত


দীর্ঘদিন গোয়েন্দা নজরদারীর পরে গত ১৪ই জুলাই রাত আনুমানিক ৯টার সময় চট্রগ্রাম শহরের হালিশহর থানাধীন ২৫নং দক্ষিন রামপুরা ওয়ার্ডের কেতুরার মসজিদ (দশ পল্ট) নামক এলাকায় তামিম এন্ড রহিম মঞ্জিল (মামু ভাগীনার বিল্ডিং) এর ৫ম তলার ভাড়া বাসা হতে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ কামরুজ্জামান (৩৫) এবং তার ছোটভাই মোঃ মনিরুজ্জামন (৩২) বিপুল পরিমানের ফেন্সিডিল সহ অাটক করে সিএমপি এর ডিবি পুলিশ (দক্ষিন)। একই সময়ে উক্ত বাসাটিতে অবস্থানরত অাটক অাসামীদের মা,বড় বোন এবং কামরুজ্জামানের স্ত্রী কে মাদক ব্যবসা ও বহনের সাথে সম্পৃক্ততার সন্দেহে এবং তথ্য উদঘাটনের জন্য গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে।
অসমাপ্ত ষষ্ঠ তলার উক্ত বিল্ডিংয়ের পঞ্চমতলায় দুই ইউনিটের একটি বাসা হতে আসামীদের আটক করে এবং উক্ত বাসার বিভিন্নরুমে তল্লাশি করে একটি রুমের খাটের নিচে প্লাস্টিকের থলের মধ্যে লুকিয়ে রাখা বিপুল পরিমানের (মাদক) ভারতীয় ফেন্সিডিল সিরাপ উদ্ধার করে অভিযানকারী গোয়েন্দা কর্মকর্তাগন।
অভিযান সম্পর্কিত বিষয়ে জিজ্ঞাসা কালে উদ্ধার অভিযানের একজন সাব-ইন্সপেক্টর এবং এলাকাবাসী ও একই বিল্ডিংয়ে বসবাসকারী অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম (৩য় তলা) এবং মুরাদ হোসেন (৪র্থ তলা) এর নিকট হতে জানা যায় যে,আসামীগন প্রায় চার বৎসর যাবৎ উক্ত বিল্ডিং এ ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে অাসছে। অাসামীগন ঘরটি কি তথ্যের ভিত্তি এবং মূলত কখন থেকে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছে জানার জন্য বাড়িটির যৌথ মালিক দিল মোহম্মদ (মামা) এবং দুবাইয়ে অবস্থানকারী মোঃ অামিন (ভাগীনা) এর মুঠোফোনে কল দিলে তৎক্ষনাৎ উভয়ের নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। বাড়িটির রক্ষনাবেক্ষনের দায়ীত্বে থাকা বৃদ্ধ মোজাম্মেল হক ভান্ডারীকে আসামীগনের এবং বাড়ির মালিকের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিলে সে বলে যে বাড়ির মালিক দিল মোহম্মদ ও অামিন এখানে কখনোই অাসেন না,সে বাড়ির মাসিক ভাড়া ভাড়াটিয়ার নিকট হতে উত্তলন করে বাড়িওয়ালার নিকট পৌছানো ছাড়া অার কোন তথ্য জানেনা বলে জানায়।
বারংবার চেষ্টা করার পরে দিল মোহাম্মদ তার নাম্বারটি সচল করলে তার সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয় এবং তিনি ভাড়াটিয়া অাসামীগনের সকল তথ্য দায়ীত্বে থাকা মোজাম্মেল হক ভান্ডারীর কাছে অাছে বলে জানায় এবং জিজ্ঞাসিত সকল তথ্যগোপন করে সম্পূর্ণরুপে এড়িয়ে যায়।
আরও উল্লেখ থাকে যে,গ্রেফতার হওয়া মহিলা অাসামীগনের নাম ও উদ্ধারকৃত ফেন্সিডিলের পরিমাণ জানতে চাইলে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের একজন আসামীর ছবি তোলার সুযোগ না দিয়ে মাদকের পরিমান ও আসামীদের ছবিসহ সবকিছু পরেরদিন তাদের নিজস্ব পেইজে প্রকাশ করা হবে বলে জানায়।