কাউন্সিলর মো. আলমগীর হোসেন

কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়কের পদ থেকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও আক্তার হোসেন (৬০) নামে নির্মাণ সামগ্রী ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার মামলার প্রধান আসামি মো. আলমগীর হোসেনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার দিবাগত ১২টার দিকে জানানো হয়েছে এ তথ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃংখল সংগঠন। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. আলমগীর হোসেনকে সংগঠনের শৃংখলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কার করা হলো।

উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই প্রকাশ্যে জনসম্মুখে ষাটোর্ধ্ব চাচাতো ভাই ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তাকে ধরতে রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে বলে পুলিশ জানালেও অভিযানের কোন খবর পাওয়া যায়নি। প্রতাপশালী এই কাউন্সিলর গ্রেপ্তার না হলেও নিহতের পরিবারকে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি নিহতের পরিবার জানিয়েছে প্রশাসন ও পুলিশকেও। বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে আসা এই কাউন্সিলর ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে এলাকায় অভিযোগের অন্ত নেই। চাঁদাবাজি, সালিসের নামে অর্থ আদায়, বিরোধপূর্ণ জমিতে ভাগ বসানো, ভূমিদস্যুতা, মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। আক্তার হোসেনকে এসএস রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় কাউন্সিলরসহ তার ৫ ভাইকে আসামি করা নিহতের স্ত্রী রেখা আক্তার বাদি হয়ে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।