ওল্ড ট্রফোর্ডে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটে নাটকীয় পরাজয়ের পর সফরকারী পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আজহার আলী হতাশ। তিনি মনে করেন, ম্যাচ জয়ের মতো সবই ছিল। এক সময় তার দলটি জয় থেকে কিঞ্চিৎ দূরে অবস্থান করছিল। ম্যানচেস্টারের মাঠে চতুর্থ ইনিংসে ১১৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে সংকটে পড়া ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ২৭৭ রানের টার্গেট টপকাতে সক্ষম হয়। ক্রিস ওকস (৮৫*) ও জস বাটলার (৭৫) চতুর্থ দিনে ষষ্ঠ উইকেটে ১৩৯ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ বের করে ফেলেন।

অন্য সময়ের তুলনায় এই টেস্টে অপেক্ষাকৃত ভালো খেলেও এই হার পাকিস্তানীদের জন্য ছিল তিক্ত অভিজ্ঞতা। তবে শুক্রবার দ্বিতীয় ইনিংসের শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৬৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ার মাসুল দিতে হয়েছে পাকিস্তানকে। প্রথম ইনিংসে শান মাসুদ টেস্টে ক্যারিয়ার সেরা ১৫৬ রান এবং লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ সর্বমোট ৮ উইকেট শিকার ম্যাচে উপমহাদেশের দলটিকে ভালো অবস্থায় নিয়েছিল।

বিগত ১০ বছরের মধ্যে ইংল্যান্ডের কাছে কোনো টেস্ট সিরিজ হারের নজির নেই পাকিস্তানের। বৃহস্পতিবার সাউদাম্পটনে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। আজহার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই পরাজয় হতাশার। তবে এখনই সব শেষ হয়ে যায়নি। হাতে এখনো দুটি টেস্ট রয়েছে। এই ম্যাচে ইতিবাচক অনেক কিছুই ছিল। ম্যাচের বেশিরভাগ সময় আমরা ইংল্যান্ডকে কোণঠাসা করে রেখেছিলাম। আমি বলবনা আমরা ম্যাচটি ২য় ইনিংসে হেরেছি। বরং বলব আমরা ইংলিশদের হারানোর সুযোগ হাতছাড়া করেছি।’

আজহার বলেন, ‘আরেকটি উইকেট পেলে আমার মনে হয় আমরা বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারতাম। কিন্তু বাটলার এবং ওকস অফসাইট থেকে আক্রমণ শুরু করে দিলেন এবং ম্যাচটি আমাদের নাগালের বাইরে নিয়ে যান। মাঝে মাঝে বিপক্ষ দলকেও ক্রেডিট দিতে হয়।আমরা ম্যাচটি নিয়ন্ত্রণ করছিলাম। এক সময় জয় আমাদের নাগালের মধ্যেই ছিল। কিন্তু ওই সময় তারা এসে আমাদের উপর ছড়ি ঘুরাতে শুরু করে।’

প্রথম ইনিংসে ০ রান করা বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান আজহার দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন মাত্র ১৮ রান। শুধু তাই নয়, এ পর্যন্ত ১২টি অ্যাওয়ে টেস্ট থেকে তার সংগ্রহ মাত্র ১৩৯ রান। তারপরও অধিনায়কত্ব নিজের স্বাভাবিক ব্যাটিংকে বাঁধাগ্রস্ত করছেনা জানিয়ে আজহার বলেন, ‘আমি যখন ব্যাট করি তখন নেতৃত্বের কথা মাথায় রাখি না। কোনো কারণে হয়তো আমার ফর্ম পড়ে গেছে। আর যখন আমি অধিনায়কত্ব করি তখন আমি মনে রাখি না নিজের ব্যাটিংয়ের বিষয়টি।’