অবিশ্বাস্য ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেছে মেসির বার্সেলোনা। তারও আগে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জুভেন্তাসের বিদায় ঘটেছে। ফলে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে নেই দুই মহাতারকার কেউই। বায়ার্নের কাছে মেসিদের বিধ্বস্ত হতে দেখে রক্তক্ষরণ হয়েছে বার্সা সমর্থকদের মনে। কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, শেষ কবে বার্সেলোনা এভাবে লজ্জার হার বরণ করে নিয়েছে?
ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, ৭৪ বছর আগে ১৯৪৬ সালে বার্সেলোনাকে এমন যন্ত্রণার হার হজম করতে হয়েছিল। কোপা দেল রেতে সেভিয়ার কাছে তারা ৮ গোল খেয়েছিল! সেবার রাউন্ড অফ সিক্সটিনে আট গোল খেয়ে বিদায় নিয়েছিল বার্সা। গতকাল রাতেও লিসবনের মাঠ থেকে মাথা নিচু করে বেরিয়ে যেতে হল মেসিকে। তারও আগে ভাগ্য বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল রোনালদোকে।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভাল কিছু করার জন্যই রিয়াল মাদ্রিদ থেকে জুভেন্তাসে আনা হয়েছিল সিআর সেভেনকে। পর্তুগিজ মহাতারকা দলকে সেভাবে কিছু দিতে পারেননি। চ্যম্পিয়ন্স লিগ থেকে জুভেন্তাস ছিটকে যাওয়া পরে চাকরি যায় কোচ সারির। বার্সার কোচ সেতিয়েনও চাকরি হারানোর মুখে। দুই ক্লাব হেরে যাওয়ায় সেমিফাইনালে নেই মেসি-রোনালদো। এই দুই সুপারস্টারকে ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল হয়েছিল সেই ২০০৫-০৬ সালে।
সেবার আর্সেনালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল বার্সেলোনা। কাতালান ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হলেও সেমিফাইনাল বা ফাইনালে নামেননি মেসি। কোয়ার্টার ফাইনালের চোট তাকে ছিটকে দিয়েছিল। রোনালদো তখন ছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল রোনালদোকে। ফলে দুই মহাতারকার কেউই ছিল না চ্যম্পিয়ন্স লিগে। তারপর থেকে অবশ্য সেমিফাইনালে হয় মেসি না হয় রোনালদোর উপস্থিতি ছিল। এবার দুজনের কেউই।