শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মাধ্যমে শোষণ-বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের যে স্বপ্ন নিয়ে দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল সে স্বপ্ন কে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি সংবিধান পরিবর্তন করে তারা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের লেবাস দিয়েছিল। মানুষের সকল অধিকার সেদিন কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সম্পর্কিত সবকিছুকে সেদিন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। জয় বাংলা, বঙ্গবন্ধু ও ৭ মার্চের ভাষণ সেদিন নিষিদ্ধ ছিল। আজকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাদের মায়া কান্না সত্যিই হাস্যকর।
শিক্ষামন্ত্রী আজ শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর আয়োজনে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও অনাথদের মাঝে মৌসুমী ফল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকলীগের সভাপতি হাজী আব্দুস সালাম বাবুর সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল রবের সঞ্চালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দসহ কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ
মন্ত্রী বলেন, সামরিক শাসক আইয়ুব খানের অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। জিয়াউর রহমান আবার সেই বাংলাদেশে সেনা শাসনের জগদ্দলের পাথর চাপিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে বারবার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল, ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে।
কৃষি ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সাড়ে সাত কোটি মানুষের বাংলাদেশে যখন জমি ছিল বেশি তখন প্রয়োজনের মাত্র ৬০ শতাংশ খাদ্য আমরা উৎপাদন করতে পারতাম। কিন্তু আজ আমাদের জমি কমে গেছে, মানুষ হয়েছে দ্বিগুণ তারপর ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আজ নিজেদের খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। করোনার এই মহামারীর সময়ে ও আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ নেই। অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৩ শতাংশ। তিনি বলেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুবিধা নিতে সরকার কারিগরি শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।