২০১৯-২০ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা খেলোয়াড় মনোনীত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির কেভিন ডি ব্রুইনা। পুরো মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের রেকর্ড ২০টি এসিস্টই ডি ব্রুইনাকে বর্ষসেরা খেতাব উপহার দিয়েছে। ২৯ বছর বয়সী এই বেলজিয়ান তারকা সিটিকে লিগে দ্বিতীয় স্থান অর্জনে সহযোগিতা করেছেন। যদিও ১৮ পয়েন্টের ব্যবধানে লিভারপুলের কাছে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা হাতছাড়া করতে হয়েছে সিটিজেনদের।
বেলজিয়ান এই মিডফিল্ডার এবারের মৌসুমে থিয়েরি অঁরির ২০০২-০৩ মৌসুমে সর্বোচ্চ এসিস্টের রেকর্ড স্পর্শ করেছেন। নরউইচের বিপক্ষে মৌসুমের শেষ ম্যাচে তার এসিস্টে রাহিম স্টার্লিং যখন সিটিকে ৩-০ গোলে এগিয়ে দিয়েছিল তখনই এই রেকর্ড হয়। ম্যাচটিতে সিটিজেনরা ৫-০ গোলে জয়লাভ করে।
২০টি এসিস্ট ছাড়াও পুরো মৌসুমে করেছেন ১৩টি গোল। বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পাশাপাশি তিন বছর পর আবারো প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা প্লেমেকারও মনোনীত হয়েছেন ডি ব্রুইনা। ২০১৭-১৮ মৌসুমে লিগে সবচেয়ে বেশী এসিস্ট করে তিনি প্রথমবার এই পুরস্কার জয় করেছিলেন। বর্ষসেরা হওয়ার দৌঁড়ে ডি ব্রুইনা পিছনে ফেলেছেন লিভারপুলের আলেক্সান্দার আর্নল্ড, জর্ডান হেন্ডারসন ও সাদিও মানে, সাউদাম্পটনের স্ট্রাইকার ড্যানি ইংস, লিস্টার স্ট্রাইকার জেমি ভার্দি ও বার্নলি গোলরক্ষক নিক পোপকে।
লিভারপুলের ডিফেন্ডার ট্রেন্ট আলেক্সান্দার-আর্নল্ড বর্ষসেরা তরুন খেলোয়াড় ও কোচ জার্গেন ক্লপ বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার জিতেছেন। ডিসেম্বরে বার্নলির বিপক্ষে ৫-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে একক প্রচেষ্টায় দুর্দান্ত এক গোল করার সুবাদে টটেনহ্যামের দক্ষিন কোরিয় তারকা সং হেয়াং-মিনের গোলটি বর্ষসেরা গোলের পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছে। তবে ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিচারে বর্ষসেরা ফুটবলারের তালিকায় লিভারপুলের অধিনায়ক হেন্ডারসনের থেকে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছেন ডি ব্রুইনা।