যদিও ১৯৯২ সালের পর আর বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা হয়নি ইংল্যান্ডের। বিশ্বকাপের ইতিহাসও তাদের পক্ষে নয়। কারণ তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার ঝুলিতে আছে পাঁচটি বিশ্বকাপ ট্রফি। টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও অস্ট্রেলিয়া। তারপরও এই দলের বিপক্ষে জয়ের আশা করছে ইংল্যান্ড।

গত চার বছরে নিজেদের টানা সাফল্য এবং এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের রেকর্ডকে ভরসা করছে ইংল্যান্ড। দলটির সেরা ব্যাটসম্যান জো রুট বলছেন, গত কয়েক বছরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে ইতিবাচক ফলাফল পেয়েছেন তারা, সেটাকেই মাথায় রেখে লড়াই করবে তাদের দল।

গ্রুপ পর্বের মাঝামাঝি অবশ্য একটু বিপদে পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। পরে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরপর দুটি ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে তারা।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ দুই লড়াইয়ে হেরেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু এর আগে রুট ও তার দল অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে সিরিজ জিতে এসেছে এবং তারপরও আগে ঘরের মাটিতে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইট ওয়াশ করেছে তারা অস্ট্রেলিয়াকে। এই রেকর্ডের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে রুট বলছিলেন, ‘আপনারা যদি তাদের বিপক্ষে সর্বশেষ ১১টা ম্যাচের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন যে আমরা ৯টা ম্যাচ জিতেছি। আমাদের এই দলের খেলোয়াড়েরা এবং এই গ্রুপটা গত চার বছরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে। ছেলেরা এখন খুবই ইতিবাচক। তাদের ঝুলিতে এখন অনেক সাফল্যের গল্প আছে।’

রুট বলছেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ইংল্যান্ডের এই দলকে নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ থাকতে পারে না, ‘আমি মনে করি না যে এই দল নিয়ে সংশয়ের কোনো কারণ আছে। আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস নিয়ে এই ম্যাচটায় খেলব। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লম্বা সময় ধরে সাফল্য পাওয়ার আত্মবিশ্বাস আছে আমাদের। আমাদের সেটা বৃহস্পতিবার কাজে লাগাতে হবে।’

সবকিছুর পরও সেমিফাইনাল জেতার একটা প্রবল চাপ ইংল্যান্ডের ওপর থাকবে। কিন্তু রুট বলছেন, নিজেদের দর্শকের সামনে ইতিমধ্যে তারা সেই চাপ নিয়ে খেলে অভ্যস্থ হয়ে গেছেন, ‘আমি মনে করি আমরা এটা খুব ভালোভাবে পার করে এসেছি। আমার মনে হয়েছে, গত দুটি ম্যাচ আমরা প্রায় নকআউট ম্যাচই খেলেছি। আমরা উচ্চচাপের কিছু ম্যাচ খেলছি বেশ কিছুদিন ধরে। আশা করি সেটা আরেকবার ভালোভাবে সামলাতে পারব আমরা।’ ইংল্যান্ডের জন্য আরেকটা ব্যাপার কাজ করবে, তারা এবার অনেক দিন পর বিশ্বকাপে ফেবারিট বলে বিবেচিত হচ্ছে। ঘরের মাঠে এই তকমাটাও চাপ হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু রুট বলছিলেন, ফেবারিট ব্যাপারটা আসলে তেমন কিছু নয়। দিন শেষে ওই ম্যাচে কে ভালো খেলল সেটাই ব্যাপার, ‘কে ফেবারিট, এটা তেমন কোনো ব্যাপার নয়। আসল ব্যাপার হলো, ওই নির্দিষ্ট দিনে কে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারভে। আমরা গত দুই ম্যাচের মতো খেলতে পারলে আমাদের হারানো খুব কঠিন হবে।’