গত শনিবার সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে হঠাৎ করেই অবসর নেন ভারতের সাবেক সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে আগামী বছর ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ধোনিকে আবারও জাতীয় দলে ফেরাতে পারেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, এমনটাই মনে করেন পাকিস্তানের স্পিডস্টার শোয়েব আখতার।

পাকিস্তাানের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শোয়েব বলেন, ‘আগামী বছর ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার জন্য ধোনিকে অনুরোধ জানাতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ ফেরাতে পারবেন না ধোনি।’

২০১৯ সালের জুলাইয়ের পর ভারতের হয়ে আর খেলেননি ধোনি। সেটি ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ছিল। ধোনির অবসরের পর অনেকেই বলেছেন, আইপিএলের ত্রয়োদশ আসরে নিজেকে প্রমাণ করে এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেই জাতীয় দল থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন তিনি।  কিন্তু এ বছর করোনার কারণে আইপিএল পিছিয়েছে ছয় মাস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে আগামী বছর। এখনো ১৪ মাস বাকি থাকায় দেরি না করে ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিনই অবসরের ঘোষণা দেন ধোনি।

ধোনিকে আবারও মাঠে দেখা যেতে পারে বলে মনে করেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। তিনি বলেন, ‘আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার জন্য ধোনিকে অনুরোধ করতেই পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। এমন সম্ভাবনাও রয়েছে বলে আমি মনে করি। ক্রিকেট থেকে ১৯৮৭ সালে অবসর নিয়েছিলেন পাকিস্তানের ইমরান খান। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ক্রিকেট খেলে যাওয়ার জন্য ইমরানকে অনুরোধ করেছিলেন পাকিস্তানের জেনারেল জিয়াউল হক। ইমরান তাঁর কথা রেখেছিলেন ও খেলেছিলেন। পরে ১৯৯২ সালের অবসরে যান ইমরান। তাই মোদির অনুরোধে ধোনি আবার ক্রিকেটে ফিরতে পারেন। আর মোদির অনুরোধ ফেরানো সম্ভব হবে না ধোনির। সে ক্ষেত্রে আবারও ধোনিকে মাঠে দেখা যেতে পারে।’

অধিনায়ক হিসেবে দুটি বিশ্বকাপ জয়, আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয় করেছেন ধোনি। এ ছাড়া খেলোয়াড় হিসেবে ম্যাচ শেষ করার অনেক কীর্তিও আছে ধোনির। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটের এমন ক্রিকেটারের এমন অবসর অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। শোয়েবও চান, ধোনি যেন মাঠ থেকে অবসর নেয়। তিনি বলেন, ‘ধোনিকে বিদায়ী ম্যাচ দিতে তৈরি ভারত। ধোনি যদি নিজে না চায়, সেটা আলাদা ব্যাপার। আমি চাইব, ধোনি যেন দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে বিদায় নেয়। তাহলে স্টেডিয়াম পরিপূর্ণ থাকবে। এভাবেই তার অবসর নেওয়াটা উচিত হবে।’