দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি বাড়িতে প্রবেশ করে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবাকে গুরুতর জখম করায় আটক উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম (৪২) ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য আসাদুল ইসলামকে (৩৫) কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দিনাজপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি রাসেদ পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল তাদের বহিষ্কার করেছেন। এসংক্রান্ত একটি পত্র তাঁরা পেয়েছেন।
আজ শুক্রবার হাকিমপুর, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট থানা এবং র্যাব রংপুর-১৩-এর একটি দল যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে হিলির কালীগঞ্জ এলাকায় বোনের বাড়ি থেকে আসাদুল ইসলামকে এবং জাহাঙ্গীর আলমকে তাঁর বাড়ি থেকে আটক করে। তাদের রংপুরে র্যাব-১৩ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে হাকিমপুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, আসাদুল ইসলাম ঘোড়াঘাট উপজেলার সাগরপুর গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে।
ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, জাহাঙ্গীর আলম ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জের আবুল কালামের ছেলে।
জাহাঙ্গীর আলম ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এবং আসাদুল ইসলাম আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। ২০১৭ সালে কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিতে জাহাঙ্গীর আলম আহ্বায়ক হন।