পাঁচ দিন বিরতি দিয়ে আবারো তিন দিন ধরে সিরাজগঞ্জের কাছে যমুনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জের কাছে যমুনা নদীর পানি বেড়েছে ২৮ সেন্টিমিটার। অপরদিকে, একই সময়ে যমুনা নদীর কাজিপুর পয়েন্টে পানি বেড়েছে ২৩ সেন্টিমিটার। বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, আগামী দুই দিনে পানি আরো বাড়বে। এদিকে দফায় দফায় পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করায় সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা নদী তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। নতুন করে দেখা দিয়েছে অকাল বন্যার আশঙ্কা।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে সিরাজগঞ্জের কাছে যমুনা নদীর পানি  ২৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কাজিপুর পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। 

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরো বাড়বে।

এদিকে, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলের অনেক নিম্ন অঞ্চল ডুবতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিন উঁচু বাঁধ ও সড়কসহ বিভিন্ন স্থানের আশ্রিত মানুষরা বাড়ি ফিরলেও আবারো বন্যার আতঙ্ক পেয়ে বসেছে তাদের। সিরাজগঞ্জের পাইক পাড়া গ্রামের দিলবর মিয়া জানালেন, বাড়ি থেকে পানি নামলেও যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে দু’-একদিনের মধ্যেই এলাকার ফসলি জমিগুলো ডুবে যেতে পারে। তবে বাড়ি থেকে পানি এখন  নিচেই রয়েছে। পৌর এলাকার মিরপুর কাটা ওয়াপদা মহল্লার লাইলী বেগম জানালেন, আবারো পানি এভাবে বাড়তে থাকলে তাদের ভোগান্তির শেষ থাকবে না। এমনিতেই করোনার কারণে আয়-রোজগার কমে গেছে। তার ওপর দফায় দফায় এমন বন্যার প্রকোপ তাদেরকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এদিকে সকাল থেকে শুরু হওয়া মৃদু বৃষ্টিপাতে এই আতঙ্ক তাদের আরো বেড়েছে বলে জানালেন একই মহল্লার বর্ষা খাতুন।