ম্যাঞ্চেস্টারে পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে বিরাট সম্ভাবনা জাগলেও ওল্ড ট্র্যাফোর্ডেই শেষ হয়ে যায় ভারতের স্বপ্ন। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে ১৮ রানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় টিম ইন্ডিয়া।

বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সের ময়নাতদন্ত ও আগামী বছর টি-২০ বিশ্বকাপের রোড-ম্যাপ তৈরি করতে ক্যাপ্টেন কোহলি ও কোচ শাস্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর (সিওএ)৷লিগে পর্বে শীর্ষ আসনে থাকলেও কিউয়িদের বিপক্ষে সেমিফাইনালে থেমে যায় কোহলিদের বিশ্বকাপ অভিযান। অর্থাৎ ২০১৫ পর ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও থেমে যায় ‘মেন ইন ব্লু’র চ্যালেঞ্জ। তবে ২০১৯ বিশ্বকাপকে অতীত ভেবে সামনে তাকাতে চায় বিসিসিআই। ২০২০ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপের রোড-ম্যাপ নিয়ে আলোচনা করতে চায় সিওএ।

পিটিআই-কে সিওএ-র প্রধান বিনোদ রাই জানান, ‘আমরা অবশ্যই ক্যাপ্টেন ও কোচের সঙ্গে বিশ্বকাপের পারফম্যান্স পর্যালোচনা করব। তবে কবে সেই বৈঠক হবে, এখনই তা বলতে পারব না। পাশাপাশি নির্বাচন কমিটির প্রধান কে হবে এবং নির্বাচন কমিটি কীভাবে চলবে তা নিয়েও আলোচনা হবে।’ 

সেমিফাইনাল হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও এখনও দেশের ফেরার বিমান ধরেনি টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা। রবিবার মুম্বাইয়ের বিমান ধরবে কোহলি অ্যান্ড কোং।

মনে করা হচ্ছে, দল নির্বাচন নিয়েও ক্যাপ্টেন কোহলি ও কোচ শাস্ত্রীকে প্রশ্ন করা হতে পারে। প্রশ্ন করা হতে পারে নির্বাচন কমিটির প্রধান এমএসকে প্রসাদকেও। শিখর ধাওয়ান ও বিজয় শংকর চোট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরও আম্বাতি রায়ডুকে দলে না-নিয়ে ঋষভ পন্থ ও মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে ইংল্যান্ডে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বিশ্বকাপে রিজার্ভ প্লেয়ার হিসেবে থাকা সত্ত্বেও বিজয় ছিটকে যাওয়ার পর রায়ডুকে না-নিয়ে মাায়াঙ্ককে ইংল্যান্ডে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। বিশ্বকাপে সুযোগ না-পাওয়ার হতাশায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নেন রায়ডু।

রায়ডুকে দলে না-নেওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ম্যাচে একাদশে তিনটি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে (মহেন্দ্র সিং ধোনি, ঋষভ পন্থ ও দীনেশ কার্তিক) রাখা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। দীর্ঘদিন ওয়ান ডে না-খেলা ও দ্বাদশ আইপিএলে অফ-ফর্মে থাকা কার্তিককে খেলানো নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কেদার যাদবের পরিবর্তে কার্তিককে খেলানোয় সমালোচনা কম হয়নি। পাশাপাশি ম্যাঞ্চেস্টার সেমিফাইনালে ধোনির ব্যাটিং পজিশন নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।