এবারের আইপিএলে যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। শীর্ষস্থানের লড়াইয়ে কিছুতেই আটকে রাখা যাচ্ছে না শ্রেয়াস আয়ারের দলকে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স জায়গাটা নিয়েছিল। রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে ফের পয়েন্ট তালিকার এক নম্বরে উঠে এসেছে দিল্লি।
শারজায় রাজস্থানকে লড়াইটাও করতে দেয়নি দিল্লি। জিতেছে ৪৬ রানের বড় ব্যবধানে। ৬ ম্যাচের ৫টিই জিতে ১০ পয়েন্ট এখন তাদের। সমান ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নেমে গেছে রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
১৮৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুর দিকে জস বাটলারকে (৮ বলে ১৩) হারালেও ইনিংসের অর্ধেক পর্যন্ত তবু আশা জাগিয়ে রেখেছিল রাজস্থান। ১০.২ ওভার শেষে তাদের বোর্ডে ছিল ২ উইকেটে ৭২ রান। দলীয় ৫৬ রানের মাথায়ই অবশ্য অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ (১৭ বলে ২৪) সাজঘরে ফিরেন। তবে রাজস্থানের আসল বিপর্যয় শুরু হয় সঞ্জু স্যামসন (৯ বলে ৫) আউট হওয়ার পরই।
দিল্লির বোলারদের তোপে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে দলটি। জশস্বী জ্যাসওয়েল একটা প্রান্ত ধরে কিছুটা লড়েছিলেন। কিন্তু তার ৩৬ বলে ৩৪ রানের ইনিংসটা মোটেই টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই ছিল না। ১০০ রানে ৭ উইকেট খুয়ানো রাজস্থান শেষতক ইনিংসের ২ বল বাকি থাতে ১৩৮ রানে গুটিয়ে গেছে। রাহুল তেয়াতিয়া শেষের দিকে ২৯ বলে ৩৮ রান করে দলের পরাজয়ের ব্যবধানটাই যা একটু কমিয়েছেন।
দিল্লি ক্যাপিটালসের পক্ষে ৩টি উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। ২টি করে উইকেট নেন মার্কাস স্টয়নিস আর রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
এর আগে শুক্রবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় বিপদে পড়েছিল দিল্লি। ১৩ ওভার পেরুতেই ১০৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। সেখান থেকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে টেনে তুলেন সিমরন হেটমায়ার। ২৪ বলে ১ বাউন্ডারির সঙ্গে ৫ ছক্কায় ৪৫ রানের এক ইনিংস খেলেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান।
১৭তম ওভারের শেষ বলে হেটমায়ারের ঝড় থামান কার্তিক ত্যাগি। ওয়াইড লং অনে যেভাবে হিট করেছিলেন, সেটিও ছক্কা হতে পারতো। বাউন্ডারিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ নেন তেয়াতিয়া। দিল্লি তখন ১৪৯ রানে পৌঁছে গেছে, তিন ওভার হাতে রেখে।
শেষ দিকে অক্ষর প্যাটেলের ৮ বলে ১৭ আর হর্ষল প্যাটেলের ১৫ বলে ১৬ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটে ১৮৪ রানের বড় সংগ্রহই দাঁড় করায় দিল্লি ক্যাপিটালস।
রাজস্থান রয়্যালসের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন জোফরা আর্চার। ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন এই পেসার।