ব্যবসা বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ, কূটনীতি ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকা ও সিউলের মধ্যে আজ তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গতকাল বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দক্ষিন কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী লী নাক ইয়োনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে ইনিস্ট্রুমেন্টগুলো স্বাক্ষর হয়। দুই প্রধানমন্ত্রী ইনিস্ট্রুমেন্ট স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।
ইনিস্ট্রুমেন্টগুলো হচ্ছে- (এক) কোরিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের ন্যাশনাল ডিপ্লোমেটিক একাডেমি এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ফরেন সাভির্স একাডেমির মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর। (দুই) বাংলাদেশ এবং দক্ষিন কোরিয়া মধ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষে কোরীয় ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সি এবং বালাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভলোপসেন্ট অথরিটির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর। (তিন) বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পযর্ন্ত সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচির সংক্রান্ত বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লী তায়েহো এবং বাংলাদেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমির প্রিন্সিপাল সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার প্রথম এমওইউতে স্ব স্ব পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
কোরিয়ার বাণিজ্য বিনিয়োগ প্রমোশন এজেন্সির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়ং ওহ এবং বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট অথরিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল হক দ্বিতীয় এমওইউতে স্ব স্ব পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লী তায়েহো এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্ব স্ব পক্ষে তৃতীয় এমওইউতে স্বাক্ষর করেন।