১৪ জুলাই পর্দা নেমেছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ১২তম আসরের। এরপরই ক্রিকেট কিংবদন্তিরা বিশ্বকাপের সেরা একাদশ সাজাতে ব্যস্ত। বাদ যাননি ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারও। তবে তার একাদশে ‘স্বজনপ্রীতির’ অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক চলছে। কেননা ফাইনালে যেতে না পারা ভারতীয় দলের ৫ জন সদস্য এই একাদশে জায়গা পেয়েছেন। মজার বিষয় হলো ভারতের একাদশে যার জায়গা হয় না সেই রবীন্দ্র জাদেজাকেও একাদশে রাখা হয়েছে। 

পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত বোলিং করা নিউজিল্যান্ডের কোনো বোলারের জায়গা হয়নি একাদশে। এখানে তারকা কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ড কিংবা লুকি ফার্গুসনের থেকে স্বদেশি জসপ্রিত বুমরাহকে প্রাধান্য দিয়েছেন শচীন। একাদশে তিনজন অলরাউন্ডারকে রাখা হয়েছে। যেখানে হার্দিক পাণ্ডিয়াকে বাদ দিয়ে একজন স্পেশ্যালিস্ট ব্যাটসম্যান রাখা উচিত ছিল বলে মনে করছেন অনেক নেটিজেন। তাদের দাবি, স্বদেশিকে রাখতে তিনজন অলরাউন্ডার রেখে একাদশ সাজিয়েছেন তিনি। আবার অনেকে বলছেন, যদি তিনজন অলরাউন্ডারকে রাখতেই হয় তাহলে হার্দিক পাণ্ডিয়া নয়, জিমি নিশামকে একাদশে রাখা যেত। কারণ, বিশ্বকাপে পাণ্ডিয়ার চেয়ে বেশি উজ্জ্বল ছিলেন নিশামের পারফরম্যান্স। হার্দিক পাণ্ডিয়ার ২২৬ রানের বিপরীতে নিশাম করেছেন ২৩২ রান। অন্যদিকে, বল হাতে পাণ্ডিয়ার ১০ উইকেটের বিপরীতে নিশাম নিয়েছেন ১৫ উইকেট। তাছাড়া নিশামের দল নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের ফাইনালও খেলেছে। কিন্তু তারপরও তাকে না রেখে স্বদেশি পাণ্ডিয়াকে বেছে নিয়েছেন শচীন।

প্রশ্ন উঠছে একাদশে বিরাট কোহলির থাকা নিয়েও। এখানেও নেটিজেনরা স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন। তাদের দাবি, বিশ্বকাপে কোহলির পারফরম্যান্স তেমন আহামরি ছিল না। তার চেয়ে বরং ইংল্যান্ডের জো রুট কিংবা অস্ট্রেয়িার ডেভিড ওয়ার্নার কিংবা পাকিস্তানের বারব আজমকে রাখা যেত।

বিশ্বকাপে শচীনের সেরা একাদশ : 
রোহিত শর্মা (ভারত), জনি বেয়ারস্টো (ইংল্যান্ড), কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক-নিউজিল্যান্ড), বিরাট কোহলি (ভারত), সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ), বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড), হার্ডিক পান্ডিয়া (ভারত), রবীন্দ্র জাদেজা (ভারত), মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া), জসপ্রিত বুমরাহ (ভারত), জোফরা আর্চার (ইংল্যান্ড)।