মোঃ শাকিল, বিশেষ প্রতিনিধি
আজকের এই দিনে ২০১৯ সালের ১২ই নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগে স্টেশনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা এবং সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে।
ভয়াল সেই রাতে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেন তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রামগামী আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেসের পাশ থেকে সংঘর্ষ হয়। এতে ১৭ জন নিহত হয় ও ৫৭ জন আহত হয়। সেই রাতে মন্দবাগের আকাশ বাতাস ভারি হয়ে হঠে মানুষের আত্মচিৎকারে।
দূর্ঘটনার প্রতিবেদনে বলা হয় যে, মন্দবাগ স্টেশনের মেইন লাইনে প্রবেশ করে উদয়ন এক্সপ্রেস, একই লাইনে বিপরীত দিক থেকে তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি আসছিল। ট্রেন দুটির এই স্টেশনে অতিক্রম করার কথা ছিল। এই জন্য উদয়ন এক্সপ্রেসকে মেইন লাইন থেকে ডান পাশের লুপ লাইনে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল, যাতে তূর্ণা নিশীথা মেইন লাইনে স্টেশন থ্রু হতে পারে। উদয়ন এক্সপ্রেস স্টেশনে প্রবেশের পর বিপরীত দিকের আউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লালবাতি জ্বলে ওঠে। কিন্তু তূর্ণা ট্রেনটি লালবাতি উপেক্ষা করে স্টেশনের প্রবেশ মুখে চলে আসে। তবে ততক্ষণে উদয়ন এক্সপ্রেসের ১৬টি বগির ৯টি লুপ লাইনে ঢুকে যায় কিন্তু বাকি সাতটি বগি তখনও মূল লাইনে ছিল। সে সময় ১০ নম্বর বগিতে আঘাত করে তুর্ণা নিশীথার লোকোমোটিভ। এতে উদয়ন এক্সপ্রেসের ১০ নম্বরসহ ১১ এবং ১২ নম্বর বগি লাইনচ্যুত হয়। ১০ নম্বর বগি দুমড়েমুচড়ে যায়। নিহত হয় ঘুমন্ত অনেক মানুষ। তৎক্ষনাৎ নিহত বা আহতের সংখ্যা জানা না গেলে ও দেখা যায় অসংখ্য মানুষের হাত পা ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আলাদা হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
মন্দাবাগ ট্রাজেডিতে নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।