ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে ভোটযুদ্ধ। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

দুটি আসনেই ভোট হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। এ নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা-১৮ আসনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। গত ২১ মার্চ জাতীয় সংসদের ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে মাত্র ৫.২৮  শতাংশ  ভোট পড়েছিল। আর গত ১৭ অক্টোবর  ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোট পড়ে মাত্র ১০.৪৩ শতাংশ। এতে অনেকের ধারণা, নির্বাচন সম্পর্কে  ঢাকার ভোটারদের আগ্রহ কমেছে বেশি।

এ কারণে আজকের নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী ও নেতারা। আজ সকাল থেকে শুরু করে ভোটগ্রহণের শেষ সময় পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রগুলোতে যেন ভোটারদের উপস্থিতি থাকে সেটি নিশ্চিত করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী।

ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবীব হাসান বলেন, ‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ভোটাররা নৌকায় ভোট দিতে মুখিয়ে আছেন। আমরা প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চেয়েছি। আশা করি বিপুল ভোটে জয় পাব।’

সিরাজগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তানভীর শাকিল জয় বলেন, ‘ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে আমরা প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে উৎসাহ দিয়েছি। ইভিএমে ভোটগ্রহণ কিভাবে হয় সে বিষয়ে সচেতন করতে ভোটারদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। দুর্গম চর এলাকাগুলোতেও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে এসেছি।’

এদিকে, ক্ষমতাসীন দলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি প্রার্থীরা বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আসন দুটিতে ভোটের পরিবেশ নেই বলে অভিযোগ করে আসছেন। তারপরও জনগণ সঙ্গে থাকায় তাঁরা ভোটে শেষ পর্যন্ত থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘উত্তরায় নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পিস্তল তাক করে শাসিয়ে আসছে। আর সিরাজগঞ্জে প্রার্থীকেই বাড়ি থেকে বেরোতে দেওয়া হয়নি। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের  আগের রাতে যে নির্বাচন, অন্যান্য উপনির্বাচন এবং  মেয়র নির্বাচনগুলোতে যে অবস্থা হয়েছে, এই নির্বাচনও সে রকম হবে কি না তা ভেবে আবার আমরা আশঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন।’

ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপি প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন গতকাল দুপুরে উত্তরায় নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এখানে ভোটের পরিবেশ নেই। আমরা শুনেছি, আওয়ামী লীগ রাজধানীর বিভিন্ন থানা থেকে লোক এনে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করছে।’ তাঁর অভিযোগ, প্রতিটি গণসংযোগে আওয়ামী লীগ বাধা দিয়েছে।

জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘গত ৭ নভেম্বর গভীর রাতে ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ব্যানার নির্ভর ঘরে আওয়ামী লীগ নিজেরা আগুন দিয়ে বিএনপির ২৩৫ জন নেতার নামে মামলা দিয়েছে। এমনও বলা হচ্ছে, ১২ তারিখের আগে যদি কাউকে এলাকায় দেখা যায়, তাদের মেরে ফেলা হবে।’