অনলাইন ডেক্স

অশিক্ষিত রাজমিস্ত্রীর অপকর্ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ এর নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন কথিত সাংবাদিক সাঈদ। জানাযায়,
ময়মনসিংহ থেকে গাজীপুর জেলায় আসে কর্মের সন্ধানে কাজও করে কযেক বছর রাজমিস্ত্রী হিসেবে রংগের কাজ আর মাঠে ময়দানে কাজ করতে দিয়ে পরিচয় হয় কিছু বাটপার পত্রিকার কথিত সম্পাদকদের সাথে আর তাদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে পরিচয়পত্র নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি এভাবেই মাসের ভিতর ৩থেকে ৪ বার অথবা ৫ থেকে ৬বার প্রতিমাসে অনুষ্ঠান থাকে।

বিভিন্ন সরকারি অফিসে হাজার হাজার টাকার চাঁদা দাবি করে এবং তাদেরকে বলে আমাদের অনুষ্ঠানের জন্য আপনারা সাহায্য না করলে কে করবে অথচ খবর নিয়ে দেখা যায় প্রতি মাসেই দুই-তিনবার করে তাদের অনুষ্ঠান থাকে তাদের এই অফিস ঠিকানাও ভিন্ন কাটে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় দেওয়া কোন কাটে উত্তরা৬ নাম্বার সেক্টর আবার কোন কাটে উত্তর ৯ নম্বর সেক্টর আবার কোন কাটে সিদ্দিক বাজার দেওয়া আছে অফিস ঠিকানা।

এ সকল ভুয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। অভিযানে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের ডিসি জানান, অনেকে সাংবাদিক না হয়েও যানবাহনে প্রেস স্টিকার ব্যবহার করছেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানা অপরাধে জড়াচ্ছেন।

রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল থেকে শুরু করে ফুটপাত পর্যন্ত চাঁদাবাজি করছে সাংবাদিক নামধারী এই চক্র। নানা অপকর্ম করতে এসব ভুয়া সাংবাদিক নানা নামে সংগঠনও গড়ে তুলেছে। এমনই একটি সংগঠন ‘জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন ‘। এ ছাড়া রাজনীতে শত শত ভূইফোঁড় অনলাইন গণমাধ্যমের নামেও গড়ে উঠেছে সাইনবোর্ডসর্বস্ব সাংবাদিকদের নানা সংগঠন।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি বলেন, সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা পুরো সাংবাদিক সমাজের জন্য মর্যাদাহানিকর। কোনো প্রতারক চক্র সাংবাদিক পরিচয়ে অপকর্ম করলে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

ভুয়া ও অখ্যাত পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ে অনেকে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। বিভিন্ন সময় মাদকসহ ভুয়া সাংবাদিকদের আটক করা হয়েছে। এতে মূল ধারার সাংবাদিকদের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সাংবাদিক পরিচয়ধারী এসব প্রতারকের নানা অপতৎপরতায় থানা পুলিশ অতিষ্ঠ। থানায় অপরাধীদের হয়ে নানা তদবির করাই তাদের কাজ। এ ছাড়া এরা গলায় সাংবাদিক পরিচয়পত্র আর গাড়িতে ‘প্রেস’ লেখা স্টিকার লাগিয়ে মাদক পাচার এমনকি রাজনৈতিক সহিংসতার সময় ককটেল ও বোমাও বহন করছে।

সাংবাদিক পরিচয়ধারী এসব প্রতারক চক্র শুধু নামসর্বস্ব পত্রিকার আইডি কার্ড বহনই নয়, বিভিন্ন ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা মূল ধারার বড় পত্রিকার সাংবাদিকও পরিচয় দেয়। তা ছাড়া ভূইফোঁড় পত্রিকা অফিসগুলো ‘সাংবাদিক পরিচয়পত্র’ও বিক্রি করে থাকে। এসব পরিচয়পত্র পকেটে রেখে বিভিন্ন প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইলের সামনে ‘সাংবাদিক’ বা ‘প্রেস’ লেখা স্টিকার লাগিয়ে ঘোরে একশ্রেণীর লোকজন।

রাজধানীর উত্তরা এলাকার একসময়ের রাজমিস্ত্রী সাইদ নাকি এখন সাংবাদিক, মাধ্যমিকের গন্ডি না পেরেলেও কয়েক বছর আগেও উত্তরা ও টঙ্গী এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো এখন সে নাকি ২/ ৩টি পত্রিকার আইডি কার্ড নিযে চাদাবাজিতে লিপ্ত, এক নারী সদস্য নিজের সমস্যার কথা বলে নিউজ করতে হবে জানিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে দেখা করে ফুসলিযে তার সাথে শারিরিক সম্পর্ক করে এধরনের অভিযোগ রযেছে তার বিরুদ্ধে। সে দেশের সব পত্রিকায় নিউজ করাতে পারে এ বিষযে তার সাথে দেখ্ করতে চাইলে দু’দিন পর দেখা করতে বলেন। কয়টি পত্রিকায় খবর প্রকাশ করতে চান জিজ্ঞেস করে দু’দিন পর দেখা করতে বলেন ‘সাংবাদিক’ পরিচয় দেওয়া সাইদ। তবে তার প্রতারণা সম্পর্কে জানতে চাইলে সাইদ বলেন, ‘আপনি ভুল নম্বরে ফোন করেছেন। আমি সাংবাদিক নই। আমি সাধারন পাবলিক।’ তার মোবাইল নম্বরে একটু আগে কথা হলো জানালে তিনি ফোনটি কেটে দেন। জানা যায়, সাইদ নিজেকে ‘এশিয়ান টিভির পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দেন। কিন্তুু সেই টিভি চ্যানেলের প্রধান প্রতিবেদক বলেন এ নামে আমাদের কোন সাংবাদিক নেই টঙ্গী এলাকায়।