বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর হার্টে সফলভাবে এনজিওপ্লাস্টি করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে এনজিওপ্লাস্টি সম্পন্ন হয় রিজভীর হার্টে।
রিজভীর ব্যক্তিগত সহকারী আরিফুর রহমান তুষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ল্যাব এইডের অধ্যাপক ডা. সোহরাবুজ্জামান, অধ্যাপক ডা. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ডা. মাহবুবুর রহমান, ডা. আবদুর জাহেদ, ডা. মনোয়ারুল কাদির বিটুর নেতৃত্বে সফলভাবে রিজভী আহমেদের এনজিওপ্লাস্টি করা হয়েছে।
এর আগে হার্টের এনজিওগ্রাম করার ২৮ দিন পর ফলোআপ চিকিৎসার অংশ হিসেবে গত ১১ নভেম্বর রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালের নিউক্লিয়ার কার্ডিওলজি বিভাগে হার্টের মায়োকার্ডিয়াল পারফিউশন ইমেজিং (এমপিআই) টেস্ট সম্পন্ন হয় এই বিএনপি নেতার।
তারও আগে গত ১৫ অক্টোবর ল্যাবএইড হাসপাতালে রিজভীর হার্টের এনজিওগ্রাম করা হয়। এ সময় তাঁর হার্টে একটি ব্লক ধরা পড়লে ইনজেকশনের মাধ্যমে সেটির ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ অপসারণ করা হয়। এরপর ২৭ অক্টোবর ল্যাবএইড হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সোহরাবুজ্জামানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। এ সময় তাঁর ইকো কার্ডিওগ্রামও করা হয়।
শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় পরদিন ২৮ অক্টোবর রিজভীকে ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এরপর তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শে শ্যামলীর আদাবরের বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সেখানে তাঁর চিকিৎসার নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখেন ডা. রফিকুল ইসলাম।
গত ১৩ অক্টোবর দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিকদল আয়োজিত মানববন্ধনে অংশগ্রহণ শেষে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফিরে হৃদরোগে আক্রান্ত হন রিজভী। প্রথমে তাঁকে কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।