প্রত্যাবর্তনের অসাধারণ গল্প লিখে ফরাসি চ্যাম্পিয়ন পিএসজিকে হারিয়ে দিল মোনাকো। দুই অর্ধে যেন খেলল দুই দল। প্রথমার্ধে অসংখ্য সুযোগ তৈরি করল পিএসজি। কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে এগিয়ে থেকে গেল বিরতিতে। দ্বিতীয়ার্ধে জবাব দিল মোনাকো।
লিগ ওয়ানের ম্যাচে শুক্রবার রাতে ঘরের মাঠে ৩-২ গোলে জিতেছে মোনাকো। জোড়া গোল করেন কেভিন ফলান্ড, অন্য গোলটি সেস ফাব্রেগাসের।
চোট কাটিয়ে নেইমার ও এমবাপ্পের ফেরার ম্যাচে লিগে তৃতীয় হারের তেতো স্বাদ পেল পিএসজি। শুরু থেকে জমে ওঠা ম্যাচে সফল প্রতি আক্রমণে ২৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। মাঝমাঠ থেকে অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার ক্রস থেকে বল পেয়ে দলকে এগিয়ে নেন এমবাপ্পে। ৩৬তম মিনিটে সফল স্পট কিক থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফিনিয়াকে ইউসুফ ফোফানা ফাউল করলে পেনাল্টি পায় পিএসজি। গোল করতে ভুল করেননি এমবাপ্পে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পিএসজিকে চেপে ধরে মোনাকো। বদলি নামেন ফাব্রেগাস ও কাইয়ো হেনরিক। ধার বাড়ে স্বাগতিকদের আক্রমণের। তৈরি করতে থাকে একের পর এক সুযোগ। ৪৯তম মিনিটে ফলান্ডের শট একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। পরের মিনিটে তার শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান নাভাস।
তবে ফলান্ডকে বেশিক্ষণ ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি পিএসজি। জেলসন মার্তিনেসের কাছ থেকে বল পেয়ে ৫২তম মিনিটে জাল খুঁজে নেন জার্মান ফরোয়ার্ড। বেশি কিছু করার ছিল না নাভাসের। ৬০তম মিনিটে ডি মারিয়ার জায়গায় মাঠে নামেন নেইমার। এতোক্ষণ রক্ষণে গুটিয়ে থাকা পিএসজি আক্রমণে মনোযোগ দেয় ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে পেয়ে। একই মেজাজে খেলে যায় মোনাকো। ৬৫তম মিনিটে ম্যাচে সমতাও আনে দলটি।
একটি দারুণ ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিতে যাওয়া ফাব্রেগাসকে ঠেকাতে লাইন ছেড়ে এগিয়ে আসেন নাভাস। কিন্তু পাননি বলের নাগাল। স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের কাছ থেকে বল পেয়ে অনায়াসে ফাঁকা জালে বল পাঠান ফলান্ড।
একের পর এক সুযোগ নষ্ট করা মোনাকো এগিয়ে যায় ৮৪তম মিনিটে, ফাব্রেগাসের সফল স্পট কিকে। ফলান্ডকে দিয়ালো ফাউল করায় পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। ভিএআরে দেখো পিএসজি ডিফেন্ডারকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
১১ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছে পিএসজি। টানা তৃতীয় জয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে মোনাকো।