বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মোহাম্মদ আশরাফুল প্রথম ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ৫ রান। আজ অপরাজিত ২৫ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। কাগজে-কলমে জেমকন খুলনায় তারকার ছড়াছড়ি। জাতীয় দলের দুই সেরা তারকা সাকিব-মাহমুদউল্লাহর পাশাপাশি ইমরুল কায়েসরা আছেন। তবু মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর কাছে তারা হেরেছে ৬ উইকেটে। দারুণ হাফ সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন রাজশাহী অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আরও একবার ব্যর্থতার গল্প লিখেছে খুলনার তারকাখচিত টপঅর্ডার ব্যাটিং লাইনআপ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আউট হওয়া ইমরুল কায়েস টানা দুই ম্যাচে ‘ডাক’ মারলেন। প্রথম ম্যাচে ১৩ বলে ১৫ রান করা বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আউট হয়েছেন ৯ বলে দুই চারের মারে ১২ রান করে। আর মাত্র ৩ রান করতে পারলে আজই তিনি টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে পাঁচ হাজারের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলতেন।
আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয় ২৪ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় ২৬ রান করে আউট হন। আগের ম্যাচে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করা জহুরুলও আজ আউট হয়েছেন ৩ বলে ১ রান করে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ১৩ বলে ৭ রান করে আউট হন। ৫১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া খুলনাকে আজও টেনে তোলেন গত ম্যাচের নায়ক আরিফুল হক আর তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শামীম পাটোয়ারি। আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে ৩৫ রান করেন শামীম। তার বিদায়ে ভাঙে ৩৯ বলে ৪৯ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি।
এরপর আরিফুল হক খুলনাকে সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছে দেন। দারুণ বোলিং করা মুকিদুল মুগ্ধর ১৯তম ওভারে দুই ছক্কায় তুলে নেন ১৭ রান। শেষ দুই বলে চার মেরে দলকে ১৪৬ রানে পৌঁছে দেন শহীদুল ইসলাম। রাজশাহীর পক্ষে বল হাতে ২ উইকেট নিয়েছেন ৪৪ রান খরচ করা মুকিদুল মুগ্ধ। এছাড়া ১টি করে উইকেট গেছে এবাদত, মেহেদি ও আরাফাত সানির ঝুলিতে। খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৪৬ রান।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড়ো সূচনা এনে দেন রাজশাহী অধিনায়ক শান্ত। সাকিব আল হাসানের করা প্রথম ওভারে মাত্র ২ রান আসলেও পেসারদের করা পরের দুই ওভারে আরও ২৩ রান নিয়ে নেয় রাজশাহী। আগের ম্যাচে উড়ন্ত শুরু করা ইমন আজা ৫ বলে ২ রান করে ইনিংসের তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন। দ্বিতীয় উইকেটে পাল্লা দিয়ে রান করেন শান্ত ও রনি। দুজনের জুটিতে আসে ৪৭ রান। ইনিংসের নবম ওভারের শেষ বলে ২০ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় ২৬ রান করা রনি আউট হলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর উইকেটে আসেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ১১তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে নাজমুল শান্ত নিজের ফিফটি পূরণ করেন। একই ওভারে ৩৪ বলে ৬ চার ৩ ছক্কায় ৫৫ রান করা শান্তকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান রিশাদ হোসেন। এরপর ফজলে রাব্বি নেমে শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন। দলীয় ১২০ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় করেন ২৪ রান। শামীম পাটোয়ারিকে বাউন্ডারি মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন ২২ বলে ২৫* রান করা