বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা গণসংযোগসহ নানামুখী নির্বাচনী ও দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে নন্দীগ্রাম পৌরসভায় কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি এবং কে পাচ্ছেন ধানের শীষ প্রতীক এ নিয়ে নির্বাচনী এলাকা সরগরম হয়ে উঠছে।
জানা গেছে, এলাকার সচেতন জনগণ মনে করছেন এবার আসন্ন নন্দীগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় প্রার্থীর মধ্যেই মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
মনোনয়ন প্রত্যাশীরা উঠান বৈঠক, বিভিন্ন জনবহুল স্থানে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভাসমাবেশ ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দোয়া ও শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। এলাকা ছেয়ে গেছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের শুভেচ্ছা পোস্টার ও ব্যানারে। তবে দলীয় মনোনয়নের ওপর অনেকাংশেই নির্ভর করছে জয়-পরাজয়। কাজেই সবার দৃষ্টি দলীয় মনোনয়নের দিকে।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ভোটার এবং ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মাঝে যে সব প্রার্থীদের নাম বেশি আলোচনা হচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র আনিছুর রহমান, যুবলীগের সাধারন সম্পাদক
মাহামুদ আশরাফ মামুন ও উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাধারন সম্পাদক কামরুল হাসান সবুজ।
এদিকে বর্তমান পৌরসভার মেয়র কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল সতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া বিএনপি থেকে মনোয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, পৌর বিএনপির সদস্য সাবেক মেয়র সুশান্ত কুমার শান্ত, সদস্য ও উপজেলা
পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহসান বিপ্লব রহিম।
পৌর নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা বেশি তৎপর হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে মেয়র পদে দলের মনোনয়ন নিতে জেলা ও কেন্দ্রের শীর্ষ নেতাদের আশীর্বাদ পেতে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন তারা। একই সঙ্গে
স্থানীয় নেতাকর্মীদের সমর্থন পেতে ঘরোয়া বৈঠকসহ সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়িয়েছেন। ফলে দলের মধ্যে নানামুখী গ্রুপিং-লবিং দেখা যাচ্ছে। চায়ের স্টল থেকে সরকারি-বে-সরকারি দপ্তরসহ স্যোশাল মিডিয়ায় আলোচনা,বিচার-বিশ্নেষণ
একটাই- কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি এবং কে পাচ্ছেন ধানের শীষ প্রতীক।
বসে নেই পৌরসভার সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। তারা তাদের নিজ নিজ ওয়ার্ডে গণসংযোগ শুরু করেছেন। প্রার্থীদের তালিকায় বর্তমান কাউন্সিলরের পাশাপাশি সাবেক কাউন্সিলর ও অন্যান্য নতুন মুখও রয়েছেন। এসব প্রার্থীরা আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্যান্য দলের সমর্থন পেতে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।