কাগজে-কলমে দুটি দুর্বল দলের মধ্যকার ম্যাচ ছিল আজ বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে। বড় কোনো তারকাবিহীন রাজশাহী কিছু ম্যাচ জিতলেও তামিমদের ফরচুন বরিশালের অবস্থা ছিল একেবারেই করুণ। পয়েন্ট তালিকার তলানিতে তাদের অবস্থান। এই দুই দলই আজ মিরপুরে দেখিয়ে দিল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট কাকে বলে! দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট রান উঠল ৪৪১। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের বেশিরভা ম্যাচেই স্কোর ছিল দেড়শর নিচে। সেখানে আজ রানের বন্যা বয়ে গেল মিরপুর শের-ই-বাংলায়।
রাজশাহীর করা ২২০ রান ১১ বল হাতে রেখে টপকে গেছে বরিশাল। বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টিতে এটিই সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। আগের রেকর্ডের মালিক ছিল খুলনা টাইগার্স। গত বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনের ২০৫ রান তাড়া করে খুলনা ৮ উইকেটে জিতেছিল।
রাজশাহীর ইনিংসে ৫ বলে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে কামরুল ইসলাম রাব্বি টুর্নামেন্টে প্রথম হ্যাটট্রিক উপহার দেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক করা বাংলাদেশের মাত্র তৃতীয় বোলার রাব্বি। এর আগে দেশি বোলারদের মধ্যে হ্যাটট্রিক করেছেন আলআমিন হোসেন (দুইটি) ও আলিস আল ইসলাম।
রেকর্ড ছোঁয়া ১১ ছক্কায় রাজশাহীর হয়ে শান্ত খেলেন ৫৫ বলে ১০৯ রানের ইনিংস। জবাবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী তারকা পারভেজ ইমন উপহার দেন ৪২ বলে অপরাজিত ১০০* রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। ২০১৯ বিপিএলে ৫০ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন তামিম ইকবাল। আজ তার সামনেই তার দলেরই একজন সেই রেকর্ড ভেঙেচুড়ে নতুন করে গড়ল।
এই টুর্নামেন্টের আগে মোটে চারটি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা ছিল পারভেজের। এই আসরেই প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন। আজ তিনি ২৫ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিলেন। পরের পঞ্চাশে লাগে মাত্র ১৭ বল। ইমনের সেঞ্চুরি আর বরিশালের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪ রান। বোলার ইমনকে কাভার ড্রাইভে চার মেরে সব সমীকরণ মিলিয়ে দেন পারভেজ ইমন। জিতে নেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। সব মিলিয়ে অসাধারণ রেকর্ডময় এক ম্যাচ দেখা গেল মিরপুরে। তামিম-শান্তরা নিশ্চয়ই দর্শকভর্তি উত্তাল গ্যালারি মিস করেছেন।