মাহফুজ বাবু, বিশেষ প্রতিনিধি


কুমিল্লা সদর দক্ষিণের চৌয়ারায় যুবলীগ নেতা জিল্লুর রহমান চৌধুরী জিলানীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), কুমিল্লার একটি অভিযানিক দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত নুরু মিয়া কুমিল্লার আলোচিত জিল্লুর রহমান হত্যা মামলার ১০ নম্বর এজহারনামীয় আসামি এবং চৌয়ারা হাজী বাড়ির মৃত আলী মিয়ার ছেলে। বুধবার (৯ ডিসেম্বর) তাকে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
নুরু মিয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি বুধবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই, কুমিল্লার পুলিশ পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র দেবনাথ।
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর বুধবার দুপুরে আসামি নুরুকে কুমিল্লার আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। তবে আদালত শুনানি না করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
‘প্রাথমিক তদন্তে ওই আসামি (নুরু) জিল্লুর হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা মামলাটির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই আসামিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করি। সর্বশেষ মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে দশ নম্বর আসামি নুরু মিয়াকে গ্রেপ্তার করি। এ মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১১ নভেম্বর সকালে কুমিল্লা নগরীর চৌয়ারা এলাকায় স্ত্রীর সামনেই যুবলীগ নেতা জিল্লুর রহমান চৌধুরীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। ঘটনার পরদিন তাঁর ভাই ইমরান হোসেন চৌধুরী সদর দক্ষিণ থানায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনকে আসাফম করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পরদিন আবদুল কাদের নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে গত ৩০ নভেম্বর আলোচিত এ মামলার তদন্তভার দেয়া হয় পিবিআইকে। এর এক সপ্তাহ পর মামলার এজহারনামীয় ১০ নম্বর আসামি নুরুল ইসলাম নুরুকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।