জন্ম নিবন্ধনের সময় প্রত্যেক নাগরিকের আঙ্গুলের ছাপ (ফিঙ্গার প্রিন্ট) ও চোখের আই কন্ট্রাক নেওয়া বাধ্যতামূলক করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। স্থানীয় সরকার সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের সচিব, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং পুলিশ মহাপরিদর্শককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রুল জারি করেন। মানবাধিকারকর্মী নরসিংদীর বাসিন্দা সারডা সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়ার করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত। রিট আবেদনের পক্ষে আবেদনকারী নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। আদালতের আদেশের এ তথ্য বৃহষ্পতিবার জানান ওই আইনজীবী।

আইনজীবী জানান, আমরা বহু বছর ধরেই দেখছি বিভিন্ন ব্যক্তির মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন দুর্ঘটনার পর নিহদের মরদেহ সনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তার যদি জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুরূপ ফিঙ্গার প্রিন্ট ও আই কন্ট্রাক্ট রাষ্ট্রের কাছে সংরক্ষিত থাকতো, তাহলে তাকে বেওয়ারিশ হিসেবে চিহ্নিত হতে হতো না। ঠিক একইভাবে সহজেই অপরাধী ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সনাক্ত করা সম্ভব হতো। অনেক টিনএজার আছেন। যারা ভোটার হয়নি। তাদের সনাক্ত করা কঠিন। এ কারণেই জন্ম নিবন্ধনের সময় আঙ্গুলের ছাপ ও আই কন্টাক্ট নেওয়া বাধ্যতামূলক করতে গতবছর ১২ মার্চ রিট আবেদন করা হয়। যা বুধবার শুনানি করা হয়েছে।