কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি’র) সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গাসহ ২জন যুবক নিহত হয়েছে। এ সময় ১ লাখ পিস ইয়াবা ও ২টি দেশীয় তৈরি এলজি ও ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২৪জুলাই) ভোর রাত ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিজিবি’র তিন সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজিবি।
নিহতরা হলেন- উখিয়া বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ কামাল (২২) ও টেকনাফ হোয়াইক্যং নয়াপাড়া আবুল শামার ছেলে মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান (২৩)। এ সময় বিজিবির তিন সদস্য আহত হন। তারা হলেন- মফিজুর রহমান, উজ্জল হোসেন ও ইমরান হোসেন।
টেকনাফ ২নং বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ২নং বিজিবি’র একটি টহলদল অভিযানে নামেন। এ সময় টেকনাফ লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে একটি খাল পার হয়ে ইয়াবা পাচারকারি চক্রের কিছু সদস্য ক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় বিজিবি’র সঙ্গে ইয়াবাপাচারকারিদের সঙ্গে গোলাগুলি হয়।
তিনি জানান, এক পর্যায়ে পাচারকারিরা পিছু হটে পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা, দুটি দেশীয় তৈরি এলজি ও তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দুইজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। আহত ব্যক্তিরা সেখানে মারা যান। মৃতদেহ দুটি সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ‘বিজিবির সদস্যরা গুলিবিদ্ধ দুই জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। দুজনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলির চিহ্ন ছিল। এছাড়া, আহত বিজিবি সদস্যদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।