কুমিল্লায় আবাহনীকে রুখে দেওয়ার পর এবার চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের মুখোমুখি মোহামেডান। এই দ্বৈরথটারও বাড়তি আকর্ষণ আছে। সেটি এই ভেন্যু কুমিল্লা বলেই। এই মাঠেই যে করোনায় অসম্পূর্ণ গত লিগে কিংসকে হারিয়ে চমক দিয়েছিল মোহামেডান। তখনো এটি মোহামেডানের ভেন্যু। কিংস ছিল অতিথি দল। ওবি মোনেকের একমাত্র গোলে লিগে প্রথম হারের স্বাদ পায় অস্কার ব্রুজোনের দল।

একই মাঠে সেই হারের শোধ তুলতে চাইবেই কিংস। এবার কুমিল্লা যে তাদেরও ভেন্যু। মোহামেডান কোচ শন লেন আশা করছেন দুই ‘হোম টিম’- এর খেলা দেখতে আজও দর্শকের ঢল নামবে ভাষাসৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে। বড় ম্যাচ আজ ঢাকাতেও—আবাহনী মুখোমুখি হচ্ছে যে চট্টগ্রাম আবাহনীর, সন্ধ্যার ম্যাচে শেখ রাসেলের প্রতিপক্ষ মুক্তিযোদ্ধা। টানা তিন জয়ের পর কুমিল্লায় মোহামেডানের বিপক্ষেই প্রথম পয়েন্ট হারিয়েছে আবাহনী। এই আশঙ্কাটা অবশ্য ছিলই। পুলিশ, রহমতগঞ্জের বিপক্ষে জিততে তাদের ঘাম ঝরেছে। ব্রাদার্সের বিপক্ষে জিতলেও গোল মিসের মহড়া দিয়েছে মারিও লেমোসের দল।

কঠিন পরীক্ষায় পার পাওয়াটা যে তাদের জন্য কঠিন হবে সেটি আঁচ করা গিয়েছিল সেই তিন ম্যাচের পারফরম্যান্সেই। মোহামেডানের বিপক্ষে সেটিই দেখাচ্ছে। ধারে ভাগে চট্টগ্রাম আবাহনী আরো শক্তিশালী। যদিও মারুফুল হকের দল এবারের লিগে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারছে না। চার ম্যাচে দুই জয়, দুই হার তাদের। ঠিক আগের ম্যাচটিতেই শেখ রাসেলের কাছে হেরে গেছে তারা। আবাহনীর বিপক্ষে নিক্সন গিলহির্মে, চার্লস দিদিয়েররা যে তাই আজ সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপাবেন তাতে সন্দেহ নেই। রাসেল মোহামেডানের কাছে পয়েন্ট হারালেও চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে জিতে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়েছে নিশ্চিতভাবে। আজ মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে সেটিই ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ সাইফুল বারীর দলের।

আসরে এখনো পর্যন্ত সব ম্যাচ জেতা একমাত্র দল বসুন্ধরা কিংসই। মোহামেডানের বিপক্ষে শতভাগ জয়ের রেকর্ড ধরে রেখে শীর্ষস্থানেও থাকতে চাইবে তারা। তবে ব্রুজোন মানছেন ম্যাচটি সহজ হবে না, ‘শন লেনের অধীনে মোহামেডান শক্ত প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে। ওদের সোলেমান দিয়াবাতে আক্রমণে বিপজ্জনক। ওকে আমাদের সামলাতে হবে।

তা ছাড়া দুই উইং ব্যবহার করে আমরা আমাদের স্বাভাবিক আক্রমণাত্মক ফুটবলটাই খেলব।’ লেন জানিয়েছেন তাঁরাও নামবেন জয়ের জন্য, ‘আবাহনীর ম্যাচ আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আজও আমরা জয়ের জন্যই নামব।