নিজস্ব প্রতিবেদন

ঈদগাঁও বাজারের বাশঘাটা এলাকায় ফার্নিচার দোকানে গতরাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।


এত ১০/১২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় জনতা ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, বাশঘাটার মরহুম নুর আহমদ সওদাগরের পুত্র সুমন এবং ইসলামাবাদ ইউনিয়নের মেম্বার দিদারুল ইসলাম এর ফার্নিচারের দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে তা আরো কয়েকটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। জালালাবাদ ইউনিয়ন এর এক নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোকতার আহমদ জানান, অগ্নিকাণ্ডে বেশ কয়েকটি দোকান পুড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সংবাদকর্মী সায়মন সরওয়ার কায়েম জানান, দিদারুল ইসলাম ও সুমনের এর দোকানের ফার্নিচার পুড়ে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হতে পারে। ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের অর্থ সম্পাদক নুরুল আমিন জানান, বাজারবাসী, ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
রাত সাড়ে বারটার দিকে শুরু হওয়া এ অগ্নিকাণ্ড বেশ কয়েক ঘন্টা ব্যাপী চলে। খবর পেয়ে বাজারের চতুর্দিক থেকে লোকজন জড়ো হন ঘটনাস্থলে। অগ্নিকাণ্ড শুরুর প্রায় দেড় ঘণ্টার অধিক সময় কক্সবাজার ও রামুতে দমকল বাহিনীর কয়েকটি ইউনিট এসে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। অগ্নিকাণ্ডের লেলিহান শিখায় আতঙ্কিত স্থানীয় ফার্নিচার ও অন্য দোকানিরা তাদের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিতে জোর চেষ্টা করে।


বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের দপ্তর সম্পাদক নাসির উদ্দিন জানান, যথাসময়ে ফায়ার সার্ভিস না আসায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়ে গেছে। তিনি বাজারের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছেন বলে জানান। খবর পেয়ে ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ আলম, ঈদগাঁও থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো আব্দুল হালিম, ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর তাজ জনি, ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হক রিকো, জালালাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার মমতাজুল ইসলাম, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমখ ঘটনাস্থলে ছুটে যান।