প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ায় বরিস জনসনকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়া উপলক্ষে আপনি আমার এবং বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহণ করুন।’
বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার দায়িত্ব গ্রহণ আপনার দেশকে ঐক্য, সমৃদ্ধি ও গতিশীলতার নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আপনার নেতৃত্বে যুক্তরাজ্যের জনগণের দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা ২০১৮ সালে আপনার সফরের কথা আন্তরিকভাবে স্মরণ করছি। আমরা সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ওপর নৃশংসতার জন্য মিয়ানমারকে জবাবদিহির সম্মুখীন করা এবং পূর্ণ মর্যাদা, অধিকার ও নিরাপত্তার সঙ্গে তাদের পৈতৃক ভূমিতে আশু ও টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতে আপনার ব্যক্তিগত অঙ্গীকার ও যুক্তরাজ্যের বৈশ্বিক নেতৃত্বের ওপর আমাদের আস্থা বজায় রাখছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে, যা গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার অভিন্ন মূল্যবোধ এবং যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশী জনগোষ্ঠীর কল্যাণের গভীরে প্রোথিত।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতির পিতা ও আমার প্রিয় পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি যুক্তরাজ্যের তৎকালীন কনজারভেটিভ সরকারের প্রধানমন্ত্রী স্যার এডোয়ার্ড হিথের সমর্থনের কথা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সাগ্রহে ২০২১ সালে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের কুটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপনের অপেক্ষায় রয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সুস্বাস্থ্য, সুখ ও অব্যাহত সাফল্য এবং যুক্তরাজ্যের জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।