কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রাকৃতিক উপায়ে পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুর ও যশোরের খামারিরা। এবছর ভালো দাম পাওয়ারও আশা করছেন তারা। তবে, ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ না হলে লোকসানের শঙ্কাও রয়েছে তাদের মধ্যে। প্রাণি সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশি পশু দিয়েই এবারের কোরবানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
খামারিরা জানান, ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চাহিদ পূরণে দিনাজপুরে ছোট-বড় ৬০ হাজার ৫শ’ ২০টি খামারে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু লালনপালন চলছে । ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তবে ভারত থেকে গরু আনা নিয়ে শংকাও রয়েছে । ভারত থেকে গরু আসা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে লাভের মুখ দেখা যাবে।
দিনাজপুর সদর উপ-সহকারী কর্মকর্তা উত্তম কুমার বাসক বলেন, কেউ যাতে ক্ষতিকারক ওষুধ দিয়ে গরু মোটাতাজা করতে না পারে, সেদিকে নজরদারি রাখা হয়েছে।
যশোর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ভবতোষ কান্তি সরকার জানান, খামারে যে পরিমাণ গরু পালন করা হয়েছে তাতে জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও সরবরাহ সম্ভব।
কোরবানিকে সামনে রেখে এরই মধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে যশোরের পশুর হাটগুলো। জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে এমন ১৩টি হাট রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় গড়ে উঠেছে আরো ১১টি অস্থায়ী হাট।