রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে রেকর্ড সর্বোচ্চ ২১৮ রানের পাহাড় গড়েও পরাজয়ে শঙ্কিত ছিল ভারত। তবে শেষ দুই ওভারে ভিনয় কুমার ও ইরফান পাঠানের দায়িত্বশীল বোলিংয়ে ১২ রানের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে শচীন টেন্ডুলকারের নেতৃত্বাধীন দলটি।
বুধবার ভারতের রায়পুরে শচীন টেন্ডুলকারের ৪২ বলে গড়া ৬৫ আর যুবরাজ সিংয়ের ২০ বলের অপরাজিত ৪৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ৩ উইকেটে ২১৮ রান করে ভারত।
বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার উইলিয়াম পারকিন্সের উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তিনে ব্যাটিং নামা নরসিং দেওনারায়ণকে সঙ্গে নিয়ে ৯৯ রানের জুটি গড়ে ফেরেন ওপেনার ডুয়াইন স্মিথ। সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ৩৬ বলে ৯টি চার ও দুই ছক্কায় ৬৩ রান করেন তিনি। ব্যাটিংয়ে নেমে গোল্ডেন ডাক পান ক্রিক এডোয়ার্ডস।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে ব্রায়ান লারাকে সঙ্গে নিয়ে ৮০ রানের জুটি গড়েন নরসিং দেওনারায়ণ।
শেষ দুই ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। ৫৮ ও ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন নরসিং দেওনারায়ণ ও ব্রায়ান লারা। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানে জয় দেখেছিল উইন্ডিজ। কিন্তু ১৯তম ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেন ভিনয় কুমার। ভারতীয় সাবেক এ তারকা পেসার মাত্র ৮ রান খরচ করে ব্রায়ান লারা ও টিনো বেস্টের উইকেট তুলে নিলে চাপের মধ্যে পড়ে যায় ক্যারিবীয়রা।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। ইরফান পাঠানের প্রথম বলে কোনো রান নিতে পারেননি মহেন্দ্র নাগামুতু। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে প্রান্ত বদল করেন।
শেষ চার বলে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। প্রত্যেক বলেই বাউন্ডারি হাঁকাতে হতো। ওভারের তৃতীয় বলে ডাবল রান নিতে গিয়ে আউট হন দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া নরসিং দেওনারায়ণ। জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে ৪৪ বলে ৫৯ রান করে ফেরেন তিনি। শেষ দুই প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। নাগামুতু আর সুলেমান বেন ২ রানের বেশি করতে পারেননি। ১২ রানের জয়ে ফাইনালে উঠে যায় ভারত।